সিনেমা মুক্তির পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’।
চলতি বছরেই পর পর দু’টি ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়ে ফেলেছেন বলিউডের ‘বাদশা’। কিন্তু বলিউডের অধিকাংশ তারকা তাঁকে এক সময় খারাপ চোখে দেখতেন। কী এমন করেছিলেন শাহরুখ?
১৯৮৯ সাল থেকে ‘ফৌজি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ের পথে যাত্রা শুরু করেন শাহরুখ। এর পর হিন্দি ধারাবাহিক থেকে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। কম সময়ের মধ্যেই সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে শুরু করেন ‘বাদশা’।
নব্বইয়ের দশকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি যোগ হতে থাকে শাহরুখের কেরিয়ারে। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, শাহরুখের রাতারাতি সাফল্য বহু তারকা মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে।
শাহরুখ বলিউডের সকলের চোখে কেন হঠাৎ খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন সে বিষয়ে ভিডিয়োয় খোলসা করেন এক নেটব্যবহারকারী। নিজেকে সাংবাদিক বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োয় সাংবাদিক দাবি করেন, শাহরুখের বিরুদ্ধে এক সময় বলি তারকাদের একাংশ রেগে গিয়েছিলেন। যে কোনও জায়গায় তাঁদের জমায়েত হলে সকলে মিলে শাহরুখকে নিয়ে সমালোচনা করতেন।
শাহরুখের সঙ্গে বলিপাড়ার কারও পরিচিতি ছিল না। নিজের চেষ্টায় বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেন তিনি।
শাহরুখ যখন বলিউডে ডানা মেলা শুরু করেছেন তখন বলিপাড়ায় রাজত্ব করছে কয়েকটি পরিবার যারা বংশপরম্পরায় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত।
শাহরুখকে বহু বলি তারকাই বহিরাগত হিসাবে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। ভিডিয়োতে সাংবাদিক দাবি করেন, শাহরুখ যে মুম্বইয়ে ‘মন্নত’ তৈরি করেন তা নিয়েও কম চর্চা হয়নি।
সাংবাদিকের দাবি, বলিপাড়ার তারকারা কোনও পার্টিতে একসঙ্গে হলে সকলে মিলে শাহরুখের সমালোচনা করতেন।
ভিডিয়োতে সাংবাদিক জানান, শাহরুখ আসার আগে বলিপাড়ার স্তম্ভ হিসাবে দাঁড়িয়েছিল কয়েকটি পরিবার। সে সব পরিবারের সকল সদস্যই ফিল্মপাড়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বলিপাড়ায় যেন তাদের একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল।
শাহরুখ আসার আগে বলিউডের মূল কেন্দ্র যেন বলিপাড়ার সঙ্গে যুক্ত সেই পরিবারগুলিই ছিল। কিন্তু শাহরুখের আগমনের পর কেন্দ্রবিন্দুরও পরিবর্তন হয় বলে দাবি করেন সাংবাদিক।
নব্বইয়ের দশকে যেন বলিউডের প্রাণ হয়ে ওঠে শাহরুখ। ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে শাহরুখের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সকলে তাঁকে কটাক্ষ করতেন বলে দাবি সাংবাদিকের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দূরত্ব, ভুল বোঝাবুঝি মিটেও যায়।