Banned Medicines in India

রোজকার ব্যবহারের বহু ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র! কেন নিষেধাজ্ঞা? তালিকায় কী কী?

অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করতে ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এই ওষুধ খেয়ে নিজেদের ক্ষতি করছি না তো? কিছু কিছু ওষুধ সত্যিই ক্ষতি করে আমাদের। সরকার সেগুলি নিষিদ্ধ করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১৮
Share:
০১ ১৭

ওষুধ ছাড়া জীবন এক প্রকার অসম্ভব। অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করতে ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এই ওষুধ খেয়ে নিজেদের ক্ষতি করছি না তো? কিছু কিছু ওষুধ সত্যিই ক্ষতি করে আমাদের। সরকার সেগুলি নিষিদ্ধ করে। এ রকমই কিছু ওষুধের নাম জেনে নেওয়া জরুরি।

০২ ১৭

কোন ওষুধ ক্ষতিকর, কোনটা উপকারী, সেই বিষয়টিতে নজর রাখে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন (সিডিএসসিও)। দেশে কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ করা হবে, সেই তালিকাও তৈরি করে এই সংগঠন।

Advertisement
০৩ ১৭

নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কেন্দ্র মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু ওষুধ নিষিদ্ধ করে। ২০২৩ সালেও বেশ কিছু ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে।

০৪ ১৭

কেন কোনও ওষুধকে নিষিদ্ধ করা হয়? কোন নিক্তিতে? সিডিএসসিও সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে তা নিষিদ্ধ করা হয়। যেমন কোনও ওষুধ খেয়ে যদি রোগীর কিডনি বা লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা বন্ধ করা হয়।

০৫ ১৭

কোনও ওষুধ যদি রোগ সারাতে না পারে, তা হলে তা নিষিদ্ধ করে দেয় সিডিএসসিও। অনেক ওষুধের ফলাফল পুরোপুরি পরীক্ষা না করে বাজারে ছাড়া হয়। সেগুলিও নিষিদ্ধ করা হয়।

০৬ ১৭

কোনও ওষুধে ভেজাল থাকলে বা কোনও ওষুধ সঠিক প্রক্রিয়া মেনে তৈরি করা না হলে তা নিষিদ্ধ করা হয়। এ ধরনের ওষুধ বড় ক্ষতি করতে পারে রোগীদের। তা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।

০৭ ১৭

সাধারণত দু’প্রকার ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয় ভারতে। কোনও একটি ওষুধ (সিঙ্গল ড্রাগ) নিষিদ্ধ হতে পারে।

০৮ ১৭

অনেক সময় দুই বা তার বেশি ড্রাগ নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশিয়ে একটি ওষুধ তৈরি করা হয়। একে বলে ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশন (এফডিসি)। এই ধরনের ওষুধ অনেক সময়ই নিরাপদ হয় না। নিয়ম মেনে তৈরিও করা হয় না। এগুলিও অনেক সময়ই নিষিদ্ধ করা হয়।

০৯ ১৭

চলতি বছর যে সব ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে,তার একটি তালিকা দেখে নেওয়া যাক। অ্যামিডোপাইরিন (রিউমাটিজ়ম, সর্দি, নিউরাইটিসে ব্যবহার হত), ফেনাসেটিন, নিয়ালামাইড, ক্লোরামফেনিকল (চোখের রোগ বা টপিক্যালে এখনও ব্যবহৃত হয়), ফিনাইলপ্রোপানোলামাইন, ফুরাজোলিডোন, অক্সিফেনবুটাজ়োন, মেট্রোনাইডাজ়ল (অ্যাকনের সারাতে ব্যবহার হয়) নিষিদ্ধ হয়েছে।

১০ ১৭

২০২৩ সালে মোট ১৪টি এফডিসি নিষিদ্ধ হয়েছে। সেগুলি হল নিমেসুলাইডের সঙ্গে প্যারাসিটামল ডিসপারসিবল ট্যাবলেট। আর্থ্রাইটিসের ব্যথার উপশমে ব্যবহার করা হত এই ওষুধ।

১১ ১৭

অ্যামোক্সিসাইনিলের সঙ্গে ব্রমহেক্সাইন মিশিয়ে যে ড্রাগ তৈরি হয়, তা-ও নিষিদ্ধ। শ্বাসনালিতে সংক্রমণের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হত।

১২ ১৭

নিষিদ্ধ হয়েছে ফলকোডিন এবং প্রমেথাজ়াইন। শুকনো কাশি সারাতে ব্যবহার করা হত এই ওষুধ।

১৩ ১৭

ক্লোফেনাইরামাইন ম্যালিয়েট, ফিনাইলেফ্রাইন হাইড্রোক্লোরাইড, ক্যাফেইনের মিশ্রণও নিষিদ্ধ হয়েছে। সর্দি, চোখে জল, অ্যালার্জি সারাতে ব্যবহৃত হত।

১৪ ১৭

ক্লোফেনাইরামাইন ম্যালিয়েট, ফিনাইলেফ্রাইন হাইড্রোক্লোরাইড, ডেক্সট্রোমেথোরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইডের কম্বিনেশনও নিষিদ্ধ। কাশির ওষুধ হিসাবে এই ওষুধ ব্যবহার করা হত।

১৫ ১৭

নিষিদ্ধ হয়েছে অ্যাম্ব্রক্সল হাইড্রোক্লোরাইড, গুয়াইফেনেসিন, লিভোসালবুটামোল, মেন্থল। ব্রঙ্কাইটিস, পিঠে ব্যথা, সর্দি, কাশি সারাতে ব্যবহার করা হত এই কম্বিনেশন।

১৬ ১৭

ডেক্সট্রোমেথোরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড, অ্যাম্ব্রক্সল হাইড্রোক্লোরাইড, গুয়াইফেনেসিনের কম্বিনেশনও নিষিদ্ধ। এটিও কাশির ওষুধ।

১৭ ১৭

এই ড্রাগেরই একাধিক কম্বিনেশনের ওষুধ এ বছর নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এর বেশির ভাগই ব্যবহার করা হত সর্দিকাশি সারাতে। তবে প্রতিবেদন পড়ে নিজে থেকে এ সব ওষুধ বন্ধ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ছবি: ফ্রিপিক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement