বলিপাড়ার কোনও কোনও অভিনেতার কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে শতাধিক ছবি। কেউ আবার একশোর গণ্ডি পার করতে পারেননি। তবে এমন এক বলি অভিনেতা রয়েছেন, যিনি নিজের কেরিয়ারে ২০০টি ছবিতে অভিনয় করলেও হিন্দি ফিল্মজগতের অন্যান্য অভিনেতার তুলনায় সবচেয়ে বেশি রিমেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এমনকি ছবি ফ্লপ করার পর আড়াই কোটি টাকার লোকসানও হয়েছিল সেই অভিনেতার কেরিয়ারে।
পরনে টি শার্ট, সাদা প্যান্ট। জুতো জোড়াও সাদা রঙের। ১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফর্জ’ ছবিতে ‘মস্ত বাহারো কা ম্যায় আশিক’ গানের দৃশ্যে বলিউডের ‘জাম্পিং জ্যাক’ জিতেন্দ্রের নাচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল তাঁর পোশাকও।
অভিনয় দক্ষতা এবং নাচের পারদর্শিতায় তো বটেই, বড় পর্দায় জিতেন্দ্র তাঁর পোশাকের জন্যও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ষাট থেকে নব্বইয়ের দশকে একের পর এক হিন্দি ছবি হিন্দি ফিল্মজগতকে উপহার দিয়ে গিয়েছেন জিতেন্দ্র। বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে জানা যায়, বলিউডে বাকি অভিনেতার তুলনায় সবচেয়ে বেশি রিমেক ছবিতে অভিনয় করে নজির গড়েছেন জিতেন্দ্র।
১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গীত গায়া পত্থরো নে’ ছবিতে অভিনয় করে হিন্দি ফিল্মজগতে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন জিতেন্দ্র।
‘গীত গায়া পত্থরো নে’ মুক্তির তিন বছর কাটানোর পর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফর্জ’ ছবির মাধ্যমে কেরিয়ারে নয়া মাইলফলক তৈরি হয় জিতেন্দ্রের।
কেরিয়ারের দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন জিতেন্দ্র। তার মধ্যে ১২১টি হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
বলিউডের সকল অভিনেতার মধ্যে জিতেন্দ্রের কেরিয়ারে রিমেক ছবির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, মোট ৮০টি রিমেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘জাস্টিস চৌধুরী’, ‘সংযোগ’, ‘অওলাদ’, ‘মাওয়ালি’ এবং ‘হিম্মতওয়ালা’র মতো একাধিক রিমেক ছবিতে অভিনয় করেছেন জিতেন্দ্র।
বেশির ভাগ তেলুগু ভাষার ছবির হিন্দি রিমেকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্রকে।
বেশির ভাগ রিমেক ছবিতে জয়া প্রদা এবং শ্রীদেবীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জিতেন্দ্র।
ষাটের দশক থেকে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার পর জিতেন্দ্রের কেরিয়ারেও পতন লক্ষ করা যায়। ১৯৮২ সালে অভিনেতার ‘দীদার-এ-ইয়ার’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। শোনা যায় এর ফলে আড়াই কোটি টাকার লোকসান হয় জিতেন্দ্রের।
‘দীদার-এ-ইয়ার’ ছবি মুক্তির এক বছর পর জিতেন্দ্রের কেরিয়ার নতুন দিকে মোড় নেয়। শ্রীদেবীর সঙ্গে জু়টি বেঁধে ‘হিম্মতওয়ালা’ ছবিতে অভিনয় করেন জিতেন্দ্র। এই ছবিটি বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করে।
জিতেন্দ্রের আসল নাম রবি কপূর। অভিনয়ে নামার আগে নিজের নাম পাল্টে ফেলেন অভিনেতা।
২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জিতেন্দ্র-কন্যা একতা কপূর। বাবার আসল নামানুসারেই একতা নিজের পুত্রের নামকরণ করেন রবি।