রুষ্ট আমির খানকে বন্ধু বানিয়ে নিয়েছিলেন সলমন খান। এখন তাঁদের গলায় গলায় ভাব। একে অপরের ছবির প্রশংসা করেন।
একসঙ্গে একটিই ছবি করেছিলেন দুই খান। ‘আন্দাজ আপনা আপনা’। সেই ছবির পর আমির ঠিক করে নিয়েছিলেন, আর কখনও সলমনের সঙ্গে কাজ করবেন না।
‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিটি ৯০-এর দশকের জনপ্রিয় ছবিগুলির একটি। তার শ্যুটিংয়েই বলিউডের ‘ব্যাডবয়’-এর আচার আচরণে বিরক্ত হয়েছিলেন বলিউডের ‘ মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।
শাহরুখের সঙ্গে আমিরের শীতল সম্পর্কের কথা অনেকেরই জানা। এক সাক্ষাৎকারে আমির জানিয়েছিলেন, সলমনকেও প্রথম থেকেই অত্যন্ত রুঢ় এবং দুর্বিনীত মনে হয়েছিল তাঁর।
ওই সাক্ষাৎকারেই সলমনকে উদ্ধত বলেও মন্তব্য করেছিলেন আমির। বলেছিলেন, ‘‘আমার ওকে একেবারেই ভাল লাগেনি। ওকে একজন উদ্ধত, অনুভূতিহীন মানুষ বলে মনে হয়েছিল আমার। ’’
১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ‘আন্দাজ আপনা আপনা’। তার ঠিক আট বছর পর আমিরের জীবনে ফিরে আসেন সলমন।
২০০২ সালে তখন বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছেন আমির। তিন তারকা খানের মধ্যে তাঁর আলো কিছুটা নিস্প্রভ। স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে সদ্য বিচ্ছেদ হয়েছে। হতাশা থেকে মুক্তি খুঁজতে আমির মদ্যপান শুরু করেছেন। দিন রাত ডুবে আছেন নেশায়।
ওই সাক্ষাৎকারে আমির জানিয়েছেন, হঠাৎ একদিন তাঁর দেখা হয়ে যায় সলমন খানের সঙ্গে।
আমির বলেছেন, নেশার ঘোরে হোক বা হতাশার জন্য— ওঁর প্রতি আমার অপছন্দবোধ ঠিক ততটা তীব্র ছিল না তখন। সলমন আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল, আমিও রাজি হয়ে যাই।’’
এরপর একসঙ্গে মদ্যপান করেন দু’জন। আমির আশ্চর্য হয়ে দেখেন, তিনি তাঁর সমস্যার কথা সলমনকে বলছেন। সলমনও তা বুঝতে পারছেন। পরে সেই সব মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে আমির বলেছেন, ‘‘আমি দেখলাম ওঁর সঙ্গে আমি দিব্যি কথা বলতে পারছি। আমার কথা জানাতে পারছি। আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হতে শুরু করল।’’
ওই সময়ে বহুবার আমিরের সঙ্গে নিজে দেখা করেছেন সলমন। ভাল সম্পর্ক পরিণত হয়েছে বন্ধুত্বে।
আমির ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে ও এসেছিল আমার কাছে। তারপর থেকে আর আমাদের মধ্যে কোনও কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমাদের বন্ধুত্ব শুধু বেড়েইছে।