দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হোক বা বলিউড— রম্ভা যে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তা অস্বীকার করা যায় না। হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম, তামিল, তেলুগু, বাংলা, ভোজপুরি এমনকি ইংরেজি ভাষার ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রম্ভাকে। ছোট পর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি।
নববইয়ের দশক থেকে শুরু করে প্রায় তিন দশক অভিনয় জগতে ছিলেন রম্ভা। ২০১০ সালে কানাডার এক ব্যবসায়ী ইন্দ্রকুমার পাঠমনথনকে বিয়ে করেন তিনি।
কিন্তু বিয়ের পর রম্ভার মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। মধুচন্দ্রিমায় বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন রম্ভা এবং ইন্দ্রকুমার। ঘুরতে গিয়েই তাঁর স্বামীর সম্পর্কে এমন এক কথা জানতে পারেন যে, তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে যায়।
রম্ভা জানতে পারেন যে, ইন্দ্রকুমার আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রীকে বিচ্ছেদ না দিয়েই রম্ভাকে বিয়ে করেন তিনি।
দুশ্যন্তি সেলভাভিনায়কম নামে এক জনকে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রকুমার। বিবাহিত অবস্থায় আবার রম্ভাকে বিয়ে করেন তিনি।
সত্যি জানার পর আর ইন্দ্রকুমারের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেননি রম্ভা। মধুচন্দ্রিমা শেষ না করেই নিজের বাড়িতে ফিরে যান অভিনেত্রী।
যত দিন না পর্যন্ত ইন্দ্রকুমার তাঁর প্রথম স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দিচ্ছেন, তত দিন রম্ভা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, ইন্দ্রকুমারকে বিচ্ছেদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রম্ভা। কিন্তু অভিনেত্রী পরে এ প্রসঙ্গে জানান যে, ইন্দ্রকুমারকে কোনও দিনই বিচ্ছেদ দিতে চাননি তিনি।
ইন্দ্রকুমারের সঙ্গে রম্ভার বিচ্ছেদের ব্যাপারে ভুল কথা রটানো হয়েছে বলে দাবি করেন রম্ভা। স্বামীর সঙ্গে তিনি সুখে ঘর করছেন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, রম্ভার কথায় প্রথম স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দিয়েছিলেন ইন্দ্রকুমার। তার পর অভিনেত্রীর মান ভাঙিয়ে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ইন্দ্রকুমার।
বিয়ে করার পর বড় পর্দা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন রম্ভা। ছোট পর্দার বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে কখনও অতিথিশিল্পী হিসাবে, কখনও বা বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দুই কন্যা এবং এক পুত্রসন্তান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন ৪৬ বছর বয়সি রম্ভা। অভিনয়জগত থেকে দূরে থাকলেও তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কোনও অংশে কমেনি।
ইনস্টাগ্রামে যথেষ্ট সক্রিয় রম্ভা। মাঝেমধ্যেই নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীর অনুরাগী সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।