Slap Kabaddi in Pakistan

তেল মেখে কষিয়ে থাপ্পড় মারলেই পয়েন্ট! এক অন্য কবাডি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পাকিস্তানে

তেল মাখা আদুড় গায়ে মাঠের মধ্যে যুযুধান দুই প্রতিযোগী। একে অপরকে চপেটাঘাত করেই চলেছেন। লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে একের পর এক থাপ্পড় কষাচ্ছেন প্রতিপক্ষকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লাহৌর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ১৩:০২
Share:
০১ ১৯

তেল মাখা আদুড় গায়ে মাঠের মধ্যে যুযুধান দুই প্রতিযোগী। একে অপরকে চপেটাঘাত করেই চলেছেন। লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে একের পর এক থাপ্পড় কষাচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। কখনও এক হাত, আবার কখনও চলছে দু’হাতই। কোনও ‘খেলা’র কথা মাথায় আসছে কী? না আসাই স্বাভাবিক। কারণ সম্প্রতি জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অদ্ভুত খেলার নাম থাপ্পড় কবাডি বা ‘স্ল্যাপ’ কবাডি।

০২ ১৯

তবে ভারতে না, প্রতিবেশী পাকিস্তানে এই বিশেষ কবাডি খেলার চল রয়েছে। তথাকথিত কবাডি খেলার থেকে এই ‘স্ল্যাপ’ কবাডির নিয়মকানুনও আলাদা।

Advertisement
০৩ ১৯

পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই খেলার ছবি এবং ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

০৪ ১৯

পাকিস্তানে নতুন এই খেলা সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই খেলা নিয়ে হাসির রোলও উঠছে।

০৫ ১৯

‘স্ল্যাপ’ কবাডি প্রচলিত কবাডি খেলার থেকে একদমই আলাদা। এই খেলায় প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়ে সেই দলের কাউকে ছুঁয়ে ফিরে আসার বা প্রতিপক্ষ দলের কেউ এলে তাঁকে গণ্ডি টপকাতে না দেওয়ার নিয়ম নেই। পরিবর্তে প্রতিপক্ষকে একের পর এক চড় কষানোর নিয়ম রয়েছে।

০৬ ১৯

কবাডির এই অনন্য ‘বিকল্পের’ ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দর্শকদের মনে কৌতূহল তৈরির পাশাপাশি চর্চার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয়েছে এই খেলা।

০৭ ১৯

প্রচলিত কবাডি খেলায় দু’টি দল থাকে। প্রতি দলে সর্বোচ্চ সাত জন করে খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেন।

০৮ ১৯

কিন্তু ‘স্ল্যাপ’ কবাডির নিয়ম আলাদা। এখানে দলের মধ্যে না, খেলা হয় দু’জন কুস্তিগিরের মধ্যে।

০৯ ১৯

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পাকিস্তানের কবাডি খেলোয়াড় হাজি তাসাউর। সেখানে তিনি ‘স্ল্যাপ’ কবাডির নিয়ম সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

১০ ১৯

তাসাউর জানিয়েছেন, স্ল্যাপ কবাডিতে দুই কুস্তিগিরকে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামতে হয়।

১১ ১৯

খেলা চলাকালীন এক প্রতিপক্ষকে অপর প্রতিপক্ষের বুকে, গালে চড় কষাতে হয়। চড় কষালেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। যত চড় ততই বাড়তে থাকে পয়েন্ট।

১২ ১৯

‘স্ল্যাপ’ কবাডির ক্ষেত্রে যত ক্ষণ না এক জন হাল ছেড়ে দেন তত ক্ষণ খেলা চলতে থাকে।

১৩ ১৯

এই খেলায় চড় মারার নিয়ম থাকলেও ঘুষি মারা যায় না। ঘুষি মারলেই ওই খেলায়াড়কে তৎক্ষণাৎ খেলা থেকে বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

১৪ ১৯

তাসাউর জানিয়েছেন, এক জন চাইলে প্রতিপক্ষকে যত খুশি চড় মারতে পারেন। কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই।

১৫ ১৯

তাসাউরের মতে, পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তথাকথিত কবাডির তুলনায় এই খেলা বেশি জনপ্রিয়।

১৬ ১৯

তাসাউর উল্লেখ করেছেন, খেলা চলার সময় প্রবল ভাবে উল্লাস করেন এবং হাততালি দেন দর্শক। যে কারণে এই খেলায় একটি উদ্যমী পরিবেশ তৈরি হয়। কোনও পক্ষই সহজে হাল ছাড়ে না।

১৭ ১৯

তাসাউর বলেন, “খেলার সময় আমি নিজেকে এবং আমার প্রতিপক্ষকে আহত না করার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ বা আমি আহত হলে ক্ষতি। কিন্তু কী ভাবে প্রতিপক্ষকে হারাব এবং আক্রমণ এড়াতে পারব সেই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।’’

১৮ ১৯

খেলা শেষে ‘স্ল্যাপ’ কবাডির বিজয়ীকে নগদ পুরস্কার এবং ট্রফি দেওয়া হয় বলেও তাসাউর জানিয়েছেন।

১৯ ১৯

‘স্ল্যাপ’ কবাডির প্রথম যে ছবি টুইটারে প্রকাশ্যে আসে সেটি দু’লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement