উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের মেয়েদের যেখানে সাধারণত ২২-২৩ বছরের গণ্ডি পেরোলেই বিয়ে দেওয়ার রীতি, সেখানে গতানুগতিকতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। বডিবিল্ডার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অঙ্কিতা সিংহ।
শুধু কি তাই! মঞ্চে ওঠার আগে অঙ্কিতা তাঁর পরনের পোশাক হিসাবে বেছে নেন বিকিনি।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি ছোট্ট গ্রামে বড় হয়ে ওঠা অঙ্কিতার।
বডিবিল্ডিংয়ের প্রতি অঙ্কিতার আগ্রহ জন্মায় জিমে ভর্তি হওয়ার পর থেকে। ২০১৮ সালে শরীরচর্চার উদ্দেশ্যেই জিমে ভর্তি হন তিনি।
তার পর বডিবিল্ডিংয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়তে থাকে অঙ্কিতার। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে থাকেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে অঙ্কিতা বিকিনি পরে মঞ্চে উঠতেন। পরিবারের তরফে অবশ্য তাঁর এই পোশাক নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি ছিল। এমনকি প্রথম দিকে বাড়ির কেউ জানতেনও না যে অঙ্কিতা বিকিনি পরে মঞ্চে ওঠেন।
কয়েক দিন পরে একটি ভিডিয়োতে অঙ্কিতাকে এই পোশাকে দেখে ফেলেন তাঁর বাবা । তার পর মেয়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু অঙ্কিতাকে নিজের কেরিয়ারে এগিয়ে যেতে দেখে পরিবারের সকলে তাঁকে সমর্থন করতে শুরু করেন।
শুধু বডিবিল্ডিং-ই নয়, পাশাপাশি একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন অঙ্কিতা।
বডিবিল্ডিংয়ের বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণ করে বহু পদক জিতেছেন অঙ্কিতা।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন অঙ্কিতা।
বর্তমানে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অঙ্কিতা।
ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যেই নিজের অনুরাগী সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেছেন অঙ্কিতা।
এখনও পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে অঙ্কিতার অনুরাগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৬ হাজার।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতন অঙ্কিতা। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন ছবিতে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে ছবিও পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে।
জিমে শরীরচর্চা করার সময় বিভিন্ন মুহূর্তের ভিডিয়ো শুট করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন অঙ্কিতা।
তবে, অঙ্কিতার ইনস্টাগ্রাম ভর্তি বিকিনি পরা সাহসী ছবিতে। তিনি যে ‘বিকিনি বডিবিল্ডার’ নামেই অধিক পরিচিত, তা এই ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যায়।