দাড়ি কাটার সময় মুখের কোনও জায়গায় কেটে গেলে সেখানে ফটকিরি লাগানো হয়। ক্ষতস্থানে ফটকিরি লাগালে তা অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে এবং রক্তক্ষরণ থামাতে সাহায্য করে।
তবে ফটকিরি শুধু রাস্তার পাশের আদি, অকৃত্রিম সেলুনেই দেখা যায়। পার্লারের ভিড়ে এই সেলুনের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ফটকিরির ব্যবহারও।
ফটকিরি শুধু মাত্র অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবেই ব্যবহার করা হয় না, এর অন্য অনেক উপকারিতাও রয়েছে। ফটকিরির সঠিক ব্যবহার জানলে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রসাধনীর খরচও কমে যাবে।
বাজারে ‘আফটার শেভ প্রোডাক্ট’-এর প্রচলন কমবেশি রয়েছে। তবে কেউ চাইলে দামি প্রসাধনী ব্যবহার না করে সহজলভ্য ফটকিরিও ‘আফটার শেভ প্রোডাক্ট’ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
পুরুষরা দাড়ি কামানোর পর যদি সামান্য পরিমাণ ফটকিরি ব্যবহার করেন, তা হলে ত্বকের জেল্লা বাড়তে পারে।
কোঁচকানো ত্বক এমনকি, মুখের দাগ কমাতেও ফটকিরি ব্যবহার করা হয়।
সকালে মুখে নিয়মিত সামান্য ফটকিরি লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিলেও উপকার পাওয়া যাবে। মুখে ব্রণ দেখা দিলেও তা কমে যাবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও ফটকিরির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গরম জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ফটকিরি মিশিয়ে কুলকুচো করলে মুখের দুর্গন্ধ কমে।
মুখের ভিতর আলসার অথবা মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলেও ফটকিরির মাধ্যমে রেহাই পাওয়া যায়।
আলসারের উপর ৪০ সেকেন্ড মতো ফটকিরি গুঁড়ো লাগিয়ে রাখলে মুখের ভিতর আলসারগুলি কমতে শুরু করে।
জলভর্তি বালতিতে সারা রাত ফটকিরি মিশিয়ে সেই জল দিয়ে সকালে স্নান করলে চুলের প্রচুর সমস্যা কমতে পারে।
শ্যাম্পুর বদলে ফটকিরি দেওয়া জল দিয়ে চুল ধুলেও চুল পরিষ্কার হয়। এমনকি, উকুন মারতেও ফটকিরি দেওয়া জল সাহায্য করে।
মুখের চামড়া যেন কুঁচকে না যায়, সেই কারণে নামী ব্র্যান্ডের বহু দামি প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর বদলে ব্যবহার করা যায় ফটকিরিও।
গোলাপজলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ফটকিরি মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ হিসাবে কাজ করে।
শুধু ত্বক বা চুল নয়, গায়ে দুর্গন্ধ থাকলেও তা দূর হতে পারে ফটকিরির মাধ্যমে।
রোজ স্নানের সময় জলে নিয়মিত ফটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে স্নান করলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। আলাদা ভাবে সুগন্ধির ব্যবহার না করলেও চলে।