শিবসেনার সংসারে বিদ্রোহ দানা বাঁধতেই পুরোদস্তুর গৃহকর্ত্রীর মতোই পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরেছেন উদ্ধব ঠাকরের ঘরনি রশ্মি। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বোঝাতে তাঁদের স্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা সারছেন বালাসাহেবের পুত্রবধূ। রশ্মির চাল কি মাত করবে? সেটা বলার সময় এখনও আসেনি, তবে এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে রশ্মি নতুন করে চর্চায়।
মহারাষ্ট্রের ডম্বিভলিতে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রশ্মির।
রশ্মির পরিবার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
পরবর্তী সময়ে মুলুন্দে ভিজে ভেজ কলেজে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হন তিনি।
১৯৮৭ সালে জীবনবিমায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন রশ্মি।
রাজ ঠাকরের বোন জয়ন্তীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় রশ্মির।
সেই সূত্রেই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলাপ।
১৯৮৯ সালে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রশ্মি।
উদ্ধব-রশ্মির দুই পুত্র। এক জনের নাম আদিত্য ঠাকরে। অপর জন তেজাস।
আদিত্য বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিকে যুক্ত। মহারাষ্ট্রের পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
অন্য দিকে, তেজাস বন্যপ্রাণীদের নিয়ে গবেষণার কাজে যুক্ত।
বালাসাহেবের পুত্রবধূ বলে কথা, শুধু যে তিনি ঘরকন্না সামলাবেন, রাজনীতি নিয়ে ভাববেন না, তা কি কখনও হয়! শিবসেনার মুখপত্র ‘সমনা’র সম্পাদকের দায়িত্বভার রয়েছে রশ্মির কাঁধে।
রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখা ‘সমনা’র সম্পাদকীয় ঘিরে প্রায়শই চর্চা হয়।
‘সমনা’র পাশাপাশি শিবসেনার আরও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘মার্মিক’-রও সম্পাদক রশ্মি।
যদিও সক্রিয় রাজনীতিতে এখনও দেখা যায়নি রশ্মিকে। কিন্তু আড়ালে থেকেই সব রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরই তাঁর নজর থাকে বলেই মনে করেন অনেকে।
শিবসেনায় বিদ্রোহ সামাল দিতে বিক্ষুব্ধদের স্ত্রীদের মাধ্যমে যে ভাবে সমঝোতার পথ খুলেছেন উদ্ধব-পত্নী, তা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।