সমুদ্রের উপর কৃত্রিম দ্বীপ। আর তার উপর বিমানবন্দর। জাপানের কানসাই বিমানবন্দর দেখলে হতবাক হয়ে যেতে হয়।
নিকটবর্তী বন্দর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে ওসাকা সাগরের মধ্যবর্তী অংশে সুবিশাল অঞ্চল নিয়ে তৈরি হয়েছে কানসাই বিমানবন্দর।
বিমানবন্দরটি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৭৮০টি বিমান এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশে উড়ে যায়। ৫৯টি বিমান উড়ে যায় ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে। সপ্তাহে ৮০টি বিমান ওড়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলিতে।
১৯৯৪ সালে ওসাকা বিমানবন্দরের উপর চাপ কমাতে কৃত্রিম দ্বীপের উপর কানসাই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়।
বিমানবন্দরটিতে বর্তমানে দু’টি টার্মিনাল রয়েছে। চাকচিক্য এবং পরিকাঠামোর নিরিখে প্রথম টার্মিনালটি দ্বিতীয় টার্মিনালকে বলে বলে গোল দেবে।
১.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট প্রথম টার্মিনালটিকে ২০১৮ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম টার্মিনালের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইতালির বিখ্যাত স্থাপতি রেনজো পিয়ানো টার্মিনালটি তৈরি করেছেন।
প্রথম টার্মিনাল দিয়ে মূলত উন্নত বিশ্বের ধনী যাত্রীরা যাতায়াত করেন। দ্বিতীয় টার্মিনালটি দিয়ে যাতায়াত করেন তুলনায় কম ভাড়ার বিমানের টিকিট কাটা যাত্রীরা।
প্রতি দিন জাপান এয়ারলাইন্স এবং নিপ্পন এয়ারওয়েজের একাধিক বিমান এই বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। যাত্রিবাহী বিমানের পাশাপাশি বেশ কিছু পণ্যবাহী বিমানও এই বিমানবন্দর থেকেই যাতায়াত করে।
মূলত কম ভাড়ার বিমান ওঠানামার কেন্দ্র হিসাবে কানসাই বিমানবন্দরকে গড়ে তুলতে চাইছে জাপান। ২০২৫ সালের মধ্যে বিমানবন্দরটিকে আড়েবহরে আরও চওড়া করতে চায় জাপান সরকার।
সম্প্রতি বিমানবন্দরটিতে সংস্কারের কাজ হয়। অন্য দেশের যাত্রীদের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বৃদ্ধি পাবে, এমনটা মনে করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়।
১৯৮৭ সালে বিমানবন্দরটি তৈরির কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিমানবন্দরটিতে সড়কপথে পৌঁছনোর জন্য ১৯৯০ সালে রিঙ্কু শহর থেকে তিন কিলোমিটারের একটি সেতু তৈরি করা হয়।
এমনিতেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত জাপানে এই সেতু আগামিদিনেও নিত্যনতুন নজির গড়ে তুলতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।