আইপিএল-এর নতুন মরসুমে নতুন মেন্টর পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মেন্টর হিসাবে যোগ দিয়েছেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কিন্তু নতুন মেন্টর এলেও এই মরসুমে দলের বোলিং বিভাগ কে সামলাবেন? তাই নিয়েও আপাতত তৈরি হয়েছে সংশয়।
আইপিএলের আগে ধাক্কা কলকাতা নাইট রাইট রাইডার্স শিবিরে। নতুন দায়িত্ব নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ।
সে দেশের কোচদের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ( সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অরুণ।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাইছেন। দেশের কোচেদের প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল কোচদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলিং কোচ অরুণ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার জন্টি রোডসের সঙ্গেও চুক্তি করেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড। তাঁরা মূলত শ্রীলঙ্কার কোচেদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
তরুণ ক্রিকেটারদের কী ভাবে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, কী ভাবে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়— এ সব ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন অরুণ, রোডসেরা।
বোলিং, ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফিটনেসের উপরেও গুরুত্ব দিচ্ছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা।
বিশেষ দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ফিজিয়ো অ্যালেক্স কাউন্টোরিকে। স্থানীয় কোচদের ‘অ্যাডভান্সড ট্রেনিং’ দেবেন তিন জন।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট স্থানীয় কোচ, ট্রেনার এবং ফিজিয়োদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় আমাদের ধারাবাহিক ভাবে উন্নতি প্রয়োজন। সে জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সফল কয়েক জন প্রতিভার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’
স্থানীয় কোচদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অরুণদের মূল দায়িত্ব হলেও প্রয়োজনে শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও পরামর্শ দেবেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের আশা, ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলিং কোচের অভিজ্ঞতায় উপকৃত হবে তাঁদের দেশের ক্রিকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় দলের অতীত সাফল্যে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তারা। সে জন্য অরুণ, রোডসদের ব্যবহার করা হবে স্থানীয় প্রশিক্ষকদের উন্নত করার কাজে।
কর্তারা মনে করছেন, দেশের কোচ, ট্রেনার, ফিজিয়োরা আধুনিক প্রশিক্ষণ পেলে, দেশের সব স্তরের ক্রিকেটারেরা লাভবান হবে। ততে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সার্বিক মান বৃদ্ধি পাবে।
অরুণ এখন কেকেআরের বোলিং কোচ। শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন কি না, তা জানা যায়নি।
বছরের একটা বড় সময় তাঁকে বিদেশে থাকতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কেকেআরের আইপিএল প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয়েছে কেকেআরের প্রস্তুতি শিবির।