নয়াদিল্লি, মুম্বই, আমদাবাদ— দেশের তিন বড় রেলস্টেশনের আমূল সংস্কারের ভাবনায় কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই তিন রেলস্টেশনের সংস্কারের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
তিনটি স্টেশন সংস্কারের জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি।
স্টেশনগুলি সংস্কারের পর কেমন দেখতে হবে, তার নকশাও প্রস্তুত। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রতিটি শহরের নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্টেশনের নকশা তৈরি হয়েছে।
স্টেশনগুলিতে কাচের আবরণ থাকবে বলে খবর। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রত্যেক শহরের গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের সঙ্গে রেলস্টেশনগুলিকে যুক্ত করা হবে।
সংস্কারের পর ঢেলে সাজানো হবে দিল্লি স্টেশন। চলমান সিঁড়ি থেকে শুরু করে ঝকঝকে প্ল্যাটফর্ম— ভিড় সামলানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজধানীর জন্য।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে নয়াদিল্লি স্টেশনের সংস্কার ও পুনর্নিমাণের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে সাড়ে তিন বছর।
তবে বাকি দু’টি স্টেশন সংস্কারে রাজধানীর চেয়ে কম সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমদাবাদ ও মুম্বই রেলস্টেশন তাদের পরিকল্পিত রূপ পাবে আড়াই বছরে, জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
শুধু এই তিন স্টেশনই নয়, দেশের একাধিক রেলস্টেশনের ভোলবদলের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৯৯টি স্টেশন সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
এই স্টেশনগুলিতে দিনে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। ইতিমধ্যে ৪৭টি স্টেশনের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৩২টি স্টেশনে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন রূপে স্টেশনগুলিতে থাকবে বিলাসবহুল রুফ প্লাজা। সেখানে বিভিন্ন দোকান থেকে শুরু করে থাকবে কাফেটেরিয়া। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের একাধিক উপকরণে সাজানো হবে স্টেশনগুলি।
নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের পরিকল্পনা এবং নকশা দু’বছর আগে করা হয়েছিল। তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল পরিকল্পনাটির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন।
নতুন স্টেশনে থাকবে ফুড কোর্ট, শিশুদের খেলার জায়গা, অপেক্ষারত যাত্রীদের বসার ঘর। বিনোদনের উপকরণও রাখা হবে স্টেশনেই।
স্টেশনগুলির নয়া রূপের নকশা কয়েক সপ্তাহ আগেই টুইটারে শেয়ার করেছিল রেলমন্ত্রক। মন্ত্রিসভাও প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিল। কাজ শুরু এখন সময়ের অপেক্ষা।
নয়াদিল্লি, আমদাবাদ এবং মুম্বই স্টেশনের এই ভোলবদলে ভারতীয় রেলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।