সূর্যকুমার যাদব। এই মূহুর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তিনি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে তাঁর মতো ব্যাটার খুব কমই আছেন। কিন্তু চোটের কারণে এই মূহুর্তে খেলতে পারছেন না সূর্যকুমার।
চোট হার্দিক পাণ্ড্যেরও। খেলতে পারেননি বিশ্বকাপের সব ম্যাচ। এমন অবস্থায় পরের বছর জানুয়ারি মাসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব থাকবে কার কাঁধে? উঠছে প্রশ্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন সূর্যকুমার। হার্দিক চোট পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে। এমন অবস্থায় তিন ক্রিকেটার রয়েছেন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে। কারা তাঁরা?
রোহিত শর্মা: তিনি দেশের সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অধিনায়ক। এখনও কোনও ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি তিনি। ফলে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে রোহিতকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সে ক্ষেত্রে আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে রোহিতকে। আর তিনি খেললে অন্য কাউকে অধিনায়ক করার কথা ভাববে না বোর্ড। রোহিত শেষ বার টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২২ সালে।
এক বছরের বেশি সময় ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলেননি রোহিত। তবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দল ঘোষণার আগে তিনি খেলবেন কি না সেটাও জানতে হবে নির্বাচকদের।
রবীন্দ্র জাডেজা: দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাডেজা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসাবে তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচকেরা যে তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন সেটা বলা যায়। না হলে সহ-অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিতেন না তাঁরা।
জাডেজা যদিও ভারতীয় দলকে কখনও নেতৃত্ব দেননি। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য পাননি জাডেজা।
শ্রেয়স আয়ার: বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দু’টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিলেন শ্রেয়স। তাঁকে সেই সময় সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল।
ভারত এ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রেয়সের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রেয়স। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাই তাঁকেও অধিনায়ক হিসাবে দেখা যেতে পারে।