দেশে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এক এক জায়গায় কাজ করার সময় আলাদা। কোথাও সারা সপ্তাহে পাঁচ দিন, আবার কোথাও সপ্তাহে ছ’দিন চাকরি করতে হয়।
সপ্তাহ জুড়ে হিসাব করলে দেখা যায়, এ দেশে মোটামুটি ৪০ থেকে ৪৮ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকেন কর্মীরা। কিন্তু সারা বিশ্বে এমন বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই কম সময় ব্যয় করতে হয়। কোন কোন দেশে ‘সুখের চাকরি’র সন্ধান মিলতে পারে, তা জানেন কি?
অর্গানাইজ়েশন ফর ইকোনমিক কর্পোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) অনুযায়ী, সারা বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সময় ব্যয় করেন নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দারা।
নেদারল্যান্ডসের অধিবাসীরা সারা সপ্তাহে গড়ে মাত্র ২৯.৫ ঘণ্টা কাজ করেন।
নেদারল্যান্ডসের পর নাম আসে ডেনমার্কের। ওইসিডি-র নির্দেশ অনুযায়ী সারা সপ্তাহে গড়ে ৩২.৫ ঘণ্টা কাজ করেন সে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
ডেনমার্কের পর তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৩.৬ঘণ্টা কাজ করেন সে দেশের কর্মীরা।
সুইজ়ারল্যান্ডের অধিবাসীরা সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৪.৬ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
সুইজ়ারল্যান্ডের পর তালিকায় রয়েছে অস্ট্রিয়ার নাম। ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৫.৫ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন অস্ট্রিয়ার বাসিন্দারা।
অস্ট্রিয়ার পাশাপাশি সময়ের মাপকাঠিতে এক জায়গায় রয়েছে বেলজিয়াম। ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী সপ্তাহ জুড়ে গড়ে ৩৫.৫ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন সেখানকার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
ওইসিডি-র তরফে জানানো হয়েছে, সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৫.৫ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ইটালির বাসিন্দারা।
ইটালির পরে নাম রয়েছে আয়ারল্যান্ডের। সারা সপ্তাহে সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গড়ে ৩৫.৬ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করেন।
আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দাদের চেয়ে কর্মক্ষেত্রে সময় কাটানোর ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা এগিয়ে রয়েছেন সুইডেনের অধিবাসীরা।
ওইসিডি-র দাবি, সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৬ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন সুইডেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
তালিকায় সুইডেনের পরে রয়েছে ফিনল্যান্ডের নাম। ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী সারা সপ্তাহে গড়ে ৩৬.৩ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করেন ফিনল্যান্ডের কর্মরত অধিবাসীরা।