‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’— ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বহুল চর্চিত ওয়েব সিরিজ় এটি। মাহীপ কপূর থেকে সীমা সাজদে, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে সেখানে বহু কথা বলেছেন বলিউডের তারকা-গৃহিণীরা। অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও এঁরা সকলেই কিন্তু নিজেদের পেশাগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত।
হিন্দি ধারাবাহিক, সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের পরিচিত মুখ সঞ্জয় কপূর। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
১৯৯৭ সালে মাহীপ সান্ধুকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে মাহীপকে একটি মিউজিক ভিডিয়োতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল।
বিয়ের পর ‘শিবম’ নামের একটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু পরবর্তী কালে এই ছবি নিয়ে কোনও কাজ এগোয়নি।
বড় পর্দায় মাহীপ অভিনয় করেননি ঠিকই, কিন্তু তিনি ফিল্মজগতের সঙ্গে অন্য ভাবে যুক্ত।
গয়না নকশার কাজ করেন তিনি। বহু জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে তাঁর নকশা করা গয়না ব্যবহৃত হয়। ‘ওম শান্তি ওম’, ‘কভি অলবিদা না কেহনা’র মতো ছবিতে অভিনেত্রীরা মাহীপের তৈরি করা গয়না পরেছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে সুজ়ান খান এবং সীমা সাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুম্বইয়ে একটি জামাকাপড়ের দোকান খুলেছিলেন মাহীপ।
একটি প্রযোজনা সংস্থার পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সোহেল খান। বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খানের মতো জনপ্রিয়তার শিখরে না পৌঁছলেও বলিপাড়ায় তাঁরও নামডাক কম নয়।
অভিনয় জগতের পাশাপাশি পরিচালনা এবং প্রযোজনার কাজেও যুক্ত রয়েছেন সোহেল। কিন্তু তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সীমা সাজদে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরেই ছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সোহেলের পাশে তাঁকে মানানসই লাগত না। দু’জনের চিন্তাভাবনাও অন্য রকম ছিল। পেশাও ভিন্ন ছিল তাঁদের।
দুবাই এবং মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পোশাকের দোকান রয়েছে সীমার।
শুধু তা-ই নয়, মুম্বইয়ে একটি স্পা এবং পার্লারের মালিকানা রয়েছে তাঁর হাতে।
শিল্পা শেট্টি, মালাইকা অরোরা খান, করিনা কপূরের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজও করেছেন তিনি।
মাহীপ কপূর এবং সুজ়ান খানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুম্বইয়ে আরও একটি জামাকাপড়ের দোকান খুলেছেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে সীমা সাজদের সঙ্গে ২৪ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানলেন সোহেল।
তিন দশক ধরে ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন চাঙ্কি পাণ্ডে। চাঙ্কি-কন্যা অনন্যাও অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত।
কিন্তু চাঙ্কির স্ত্রী ভাবনা পাণ্ডের সঙ্গে অভিনয়ের দূরদূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়ের পর চাঙ্কির সঙ্গে মুম্বইয়ে একটি রেস্তরাঁ খোলেন ভাবনা।
২০১৮ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে একটি জামাকাপড়ের সংস্থা খোলেন তিনি।
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছিলেন ভাবনা।
বর্তমানে চাঙ্কির সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি অনুষ্ঠান আয়োজক সংস্থার মালিকানা রয়েছে তাঁর। ভারত জুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই সংস্থা।