বিরাট কোহলির ঠিকানা হিসাবে মুম্বইয়ের ওরলির বাড়ির কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু গুরুগ্রামে কোহলিদের প্রাসাদোপম বাড়িটি অনেকের কাছেই অচেনা।
মুম্বইয়ের পাশাপাশি সময় বিশেষে গুরুগ্রামের বাড়িতেও থাকেন কোহলিরা। স্ত্রী অনুষ্কা, মেয়ে ভামিকা ছাড়াও বিরাটের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা সরোজ কোহলি, দাদা বিকাশ কোহলি এবং বৌদি চেতনা কোহলি।
বিরাটদের গুরুগ্রামের বাড়ি যেন আদ্যোপান্ত বিলাসিতায় মোড়া। সুইমিং পুল থেকে বাগান, বার— বাড়ির ভিতরেই রয়েছে সব কিছু। অবসর, বিনোদনের জন্য বাইরে বেরোনোর দরকার পড়ে না বললেই চলে।
গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ় ১-এ বিরাটের বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির নাম ‘কোহলিজ়’। এই বাড়ির বাজারমূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
বিরাট, অনুষ্কা এবং ভামিকা মূলত মুম্বইয়ের বাড়িতেই থাকেন। গুরুগ্রামের বাড়িতে থাকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের বাকি পরিবার। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে সময় কাটান বিরাটরাও।
১০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বাড়িটির বিস্তৃতি। চারদিক সবুজে ঘেরা এই বাংলোতে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে দিব্যি সময় কাটান বিরাট, অনুষ্কারা।
এই বাড়ির বসার ঘরটিতে রয়েছে ইংরেজি ‘এল’ আকৃতির আরামদায়ক সোফা। উল্টো দিকের দেওয়ালে সাঁটা রয়েছে বিশাল একটি এলইডি টিভি। খেলা হোক বা সিনেমা, এই টিভিতেই চোখ রাখেন বিরাট। খেলেন অনলাইন গেমও।
বিরাটদের বাড়িকে বৈঠকখানা ঘরটিও আকারে বেশ বড়। এই ঘরে রয়েছে একাধিক কাঠের আসবাবপত্র। ঘরের দেওয়ালের রং গাঢ় ধূসর। ঘরটির এক দিকের দেওয়াল কাচের। সেখান থেকে বাইরের দৃশ্য দেখা যায়। এই ঘরটির মূল আকর্ষণ কিন্তু সিলিংয়ে। ঘরের একেবারে মধ্যিখানে সিলিং থেকে ঝুলছে মস্ত ঝাড়বাতি।
বিরাটের শোয়ার ঘরটিও কম আকর্ষণীয় নয়। ঘরটি আকারে বিশাল। তার এক দিকের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা হয়েছে কাঠের নিচু বিছানা। এই ঘরে আসবাবপত্র বেশ কম। বিছানার এক পাশে ঘরের কোণে রয়েছে ছোট্ট কাঠের তাক। দেওয়ালের রং হালকা কমলা।
বাড়ির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মধ্যে সংযোগস্থলটিও চোখধাঁধানো। চকচকে সাদা মার্বেলের মেঝে, দু’দিকে রয়েছে সিঁড়ি। নানা আসবাব এবং আলো দিয়ে সাজানো বাড়ির আনাচকানাচ।
বিরাটের এই বাড়ির অন্যতম আকর্ষণ বার। সেখানে রয়েছে নানা পানীয়ের সম্ভার। বাড়িতে বন্ধুবান্ধব কিংবা অতিথিরা এলে এই অংশেই হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যেরা। সঙ্গ দেন বিরাট নিজেও।
বাড়ির সামনে রয়েছে প্রশস্ত একটি বাগান। ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই বাগানই গুরুগ্রামের বাড়িতে অনুষ্কার প্রিয় জায়গা। এখানে দীর্ঘ সময় কাটান বিরাট-ঘরনি। সবুজ ঘাসে ঘেরা বাগানে রয়েছে রংবেরঙের ফুলগাছ।
বাগানেই রয়েছে সুইমিং পুলে যাওয়ার সিঁড়ি। বাড়ির এক তলায় বাগানের উপরে এক টুকরো আয়তাকার পুল বানিয়েছেন বিরাট। ঝুলন্ত এই পুলের জলে মাঝেমধ্যেই সময় কাটান কোহলি পরিবারের সদস্যেরা।
পুলের সামনে পাতা রয়েছে টেবিল এবং চেয়ার। সেখানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যায়। বিরাটের বাড়িতে কেউ ঘুরতে এলে এই অংশ সকলের নজর কাড়ে।
কাজের সুবিধার্থে বাণিজ্যনগরীতে থাকতে হলেও গুরুগ্রামের বাংলোর প্রতি বিরাটের টান চোখ এড়ায় না। সুযোগ পেলেই এই বাড়িতে চলে আসেন সস্ত্রীক বিরাট। সময় কাটান মায়ের সঙ্গে। বাড়িতে কাটানো নানা মূহূর্তের ছবিও হামেশাই তাঁকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।