জার্মানির লুফৎহানসা টেকনিক সংস্থা ধনীদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করেছে এ৩৩০ প্রাইভেট জেট।
এ৩৩০ প্রাইভেট জেটটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে দেখে মনে হবে, আকাশে একটি বিলাসবহুল হোটেল উড়ে বেড়াচ্ছে।
এ৩৩০ জেটবিমানের মূল্য আড়াই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।
প্রায় ১৯ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষমতা রয়েছে এ৩৩০ জেটবিমানের।
যাত্রীদের বিলাসিতার কথা মাথায় রেখে বিমানটি হোটেলের ধাঁচেই বানানো হয়েছে। বিমানটি উচ্চতায় ১৮ মিটারের বেশি। এর দৈর্ঘ্য ৫৮ থেকে ৬০ মিটারের মধ্যে।
বিমানে প্রবেশ করলে যাত্রীদের বসার আসনের বদলে চোখ পড়বে বেডরুম।
৩টি বিশাল বেডরুম রয়েছে এই বিমানে। ৩ টি ঘরেই ২ জনের শোওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়াও এ৩৩০ বিমানে রয়েছে বিশালাকার লাউঞ্জ, আলাদা কনফারেন্স রুমও। সুরাপানের জন্য আলাদা ঘরে রয়েছে বারের ব্যবস্থা।
শরীরচর্চা করার জন্য রয়েছে ফিটনেস রুম। এমনকি বিমানে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল রুমও।
এই বিমানে যাত্রীরা নিজেদের গাড়ি নিয়েও উঠতে পারেন। বিমানের নীচের দিকে গাড়ি রাখার জন্য গ্যারাজ রয়েছে।
বিমানের যাত্রীদের মনের অবস্থা অনুযায়ী এ৩৩০ বিমানের সিলিংয়ের ধরন বদলে যায়। বিভিন্ন ধরনের আলো দিয়ে ‘ভার্চুয়াল সিলিং’ তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় প্রোজেক্টারও।
মেডিক্যাল রুমের সিলিংয়ের জন্য হালকা রঙের ব্যবহার করা হলেও ডান্স বারের সিলিংয়ের জন্য গাঢ় রং ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমান নির্মাতারা প্রাথমিক ভাবে এই বিমানের নাম রেখেছেন ‘এক্সপ্লোরার’।
খসড়া অনুযায়ী বিমান নির্মাতারা ভেবেছিলেন, এ৩৩০ বিমানে ৮ থেকে ১২ জন যাত্রী একসঙ্গে থাকতে পারবেন। তবে বর্তমানে সর্বাধিক সাতচল্লিশ জন যাত্রী এই বিমানে যেতে পারেন।
বিমানটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যেন খুব সহজেই এর কোনও অংশ এয়ারবাস এ৩৫০ এবং বোয়িং ৭৮৭ এর মতো বিমানে লাগানো যায়।