Haunted House

Haunted House: মেঝের নীচে হাড়ের পাহাড়, দেওয়ালে বেড়ালের মমি, এই পান্থশালা ঘিরে রয়েছে বহু রহস্য

বাড়ির জিনিসপত্র আপনাআপনিই নড়েচড়ে বেড়ায়। রাতবিরেতে শোনা যায় অদ্ভুতুড়ে আওয়াজ। খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে হাড়গোড়ের পাহাড়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:০৭
Share:
০১ ১৫

হাজার বছরের পুরনো সম্পত্তি কিনে তাতে সাধের পান্থশালা বানিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের জন হামফ্রিস। পান্থশালার একাধিক বাড়ির মধ্যে একটিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে সম্পত্তি কেনার কয়েক বছরের মধ্যেই গা ছমছমে ব্যাপারস্যাপার ঘটতে শুরু করল।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৫

জনের দাবি, বাড়ির জিনিসপত্র আপনাআপনিই নড়েচড়ে বেড়ায়। রাতবিরেতে শোনা যায় অদ্ভুতুড়ে আওয়াজ। এক বার বাড়ির মেঝে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে হাড়গোড়ের পাহাড়। সঙ্গে বহু প্রাচীন একজো়ড়া ধারালো ছুরি। পাওয়া যায় দেওয়ালে গাঁথা বেড়ালের মমি। জনের মেয়ে ক্যারোলাইনের দাবি, ‘‘এটিই দুনিয়ার সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি!’’

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৫

ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারের ছোট্ট শহর ওটন-আন্ডার-এজে ক্যারোলাইনদের পান্থশালা ‘এনসিয়েন্ট র‌্যাম ইন’ ঘিরে ঘটে চলেছে যাবতীয় সব অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা। বহু বাসিন্দার দাবি, এটিই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়ি। এমনকি, দুনিয়ার সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়িগুলি মধ্যে অন্যতম।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৫

সেই ১৯৬৮ সালে মা-বাবার হাত ধরে পান্থশালায় পা রেখেছিলেন আট বছরের ক্যারোলাইন। এই ষাট বছর বয়সেও এ বাড়ির কাণ্ডকারখানা ঘিরে তাঁর ভয় কাটেনি। এখনও চোখ বুজলেই শিউরে ওঠেন বৃদ্ধা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৫

ক্যারোলাইন জানিয়েছেন, ১১৪৫ সালে এই পান্থশালার নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে তার বহু আগে থেকেই এর গোটা চত্বর জুড়ে বসতি গড়ে উঠেছিল। অনেকের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৯০০ বছর বা তারও আগে এখানে দাসেদের রাখা হত। বসবাস করেছেন খ্রিস্টান সন্ন্যাসীরাও। পান্থশালার অদূরে স্টেন্ট মেরিজ গির্জার নির্মাণের সময় তার কারিগর, রাজমিস্ত্রিরাও এখানে ঠাঁই নিয়েছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৫

বিশাল এলাকা জুড়ে থাকা সম্পত্তির গোটাটাই কিনেছিলেন ক্যারোলাইনের বাবা। অতিথিদের জন্য থাকাখাওয়ার এই জায়গা জুড়ে গত কয়েক শতকে নানা ভুতুড়ে উপদ্রব ঘটেছে বলে দাবি তাঁদের। সব কিছুই যেন ইঙ্গিত দেয়, এক সময় এ বাড়িতে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটেছিল!

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৫

২০১৭ সালে ক্যারোলাইনের বাবা মারা যান। তিনিই প্রথম এ বাড়িতে ‘তেনাদের’ আনাগোনা টের পেয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বাড়ির দেওয়াল সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে সেখানে গাঁথা একটি বেড়ালের মমিও উদ্ধার করেন জন। তা নাকি ৫০০ বছরের পুরনো। দেওয়ালের মধ্যে লেবু দিয়ে রাখা ওই মমি প্রায় অবিকৃত ছিল বলে জানিয়েছেন ক্যারোলাইন। সম্ভবত অশুভ শক্তিকে তাড়াতেই এ ব্যবস্থা বলে দাবি তাঁর।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৫

এখানেই শেষ নয়। এক বার বসার ঘরের মেঝে সারাইয়ের সময় টালিপাথর সরানো হচ্ছিল। সে সময় টালি সরাতেই নীচ থেকে বেরিয়ে পড়ে অসংখ্য হাড়গোড়। সঙ্গে এক জোড়া ধারালো ছুরিও উদ্ধার হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৫

বাড়ির মেঝেতে কে বা কারা হাড়গোড় পুঁতে রেখেছে? এ সব কাদের হাড়গোড়? আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকলেও অনুসন্ধান করতে শুরু করেন জন। মনে পড়ে, এক বার এক জ্যোতিষী তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘এ জায়গায় শিশুদের কবর দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু কেন?

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৫

হাড়গোড়ের পাশে রাখা ধারালো জোড়া ছুরি কিসের ইঙ্গিত? প্রশ্নগুলি তা়ড়িয়ে বেড়ায়ে জনকে। ‘‘তবে কি এখানে শিশুবলি দেওয়া হত?’’ বাবার মতোই প্রশ্ন ছিল ক্যারোলাইনের। তাঁর মতে, জোড়া ছুরি উদ্ধারের ঘটনা শিশুবলির দিকেই ইঙ্গিত করছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৫

ছুরি দু’টি নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে গিয়েছিলেন জন। ক্যারোলাইন বলেন, ‘‘প্রত্নতত্ত্ববিদদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ছুরিগুলির গায়ে বেশ কয়েকটি তারিখ খোদাই করা রয়েছে। তবে সেই তারিখগুলি কবেকার, তা চিহ্নিত করতে পারেননি তাঁরা। যদিও ছুরিগুলি যে বেশ প্রাচীন, তা নিশ্চিত।’’

প্রতীকী ছবি।

১২ ১৫

যদিও ২০১৪ সাল নাগাদ ক্যারোলাইনদের বাড়ি থেকে ওই ছুরি জো়ড়া চুরি হয়ে যায়। ক্যারোলাইন বলেন, ‘‘একটি কাচের বাক্সে ওই ছুরি দুটো রাখা ছিল। বাবা বাড়িতে থাকাকালীন পর্যটকদের এ জায়গা ঘুরিয়ে দেখানোর সময় সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছিল।’’ তা নিয়ে আক্ষেপ মেটেনি ক্যারোলাইনের। তাঁর কথায়, ‘‘ছুরিগুলি মূল্যবান তো বটেই। তা ছাড়া ছুরিগুলির গায়ে খোদাই করা অক্ষরগুলির মাধ্যমে হয়তো জানা যেত সেগুলি বলির কাজে লাগানো হত কি না।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৫

মেঝের নীচ থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়গুলিও পরীক্ষা করিয়েছিলেন জন। সেগুলি যে পশুর নয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তা হলে সেগুলি কাদের হাড়গোড়? রহস্য আজও অধরা!

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৫

‘এনসিয়েন্ট র‌্যাম ইন’ থেকে সম্প্রতি আরও হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। একতলায় একটি ঘরে সিঁড়ির নীচের মেঝে খুঁড়ে অজস্র হাড়গোড় দেখতে পেয়েছেন ক্যারোলাইনের সঙ্গী মিক। হাড়গোড়ের মধ্যে রয়েছে শিরদাঁড়া, চোয়াল, ঊরুর অস্থি এবং একটি মানুষের খুলি। ক্যারোলাইন বলেন, ‘‘হাড়গোড়গুলি কাদের দেহাংশ তা জানা উচিত। হাড়গোড়ের মধ্যে ওই ছুরি দু’টিই বা কেন কবর দেওয়া হল, সে নিয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৫

এলাকার বাসিন্দারা বলেন, কবরখানার উপরে এই পান্থশালা গড়ে উঠেছে। ফলে ভূতসন্ধানীদের কাছে এ জায়গাটি বেশ লোভনীয়। এই পান্থশালায় বহু বার হানা দিয়েছেন আধিভৌতিক জগৎ নিয়ে কৌতূহলীরা। একাধিক টেলিভিশন শোতেও রমরমা বাজার ধরে ফেলেছে ক্যারোলাইনদের পান্থশালা ‘এনসিয়েন্ট র‌্যাম ইন’!

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement