বরফে ঢেকে রয়েছে সমস্ত দেশ। ডিসেম্বর মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ল চিন। তুষারপাতের পাশাপাশি বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়াও।
প্রায় চার দশক পর তাপমাত্রার নজির ভাঙল চিন। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৯৮০ সালের পর এমন ঠান্ডা পড়েনি চিনে।
চলতি বছরে চিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে জায়গায় পৌঁছেছে যা চার দশক আগের নজির ভেঙে ফেলেছে।
১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাসে চিনের হেইলংজিয়াংয়ের ইচুন প্রদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -৪৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চিনের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে চিনের তাপমাত্রা -৪৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমেছে।
বেশ কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে চিনের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে।
পরিস্থিতি লক্ষ করে দেশ জুড়ে আপৎকালীন অবস্থা জারি করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চিনের শাং শি, হেবেই এবং লিয়াওনিং প্রদেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এই সব অঞ্চলে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
গাড়ি চলাচল তো বটেই, রাস্তায় এমন ভাবে বরফ জমে রয়েছে যে হাঁটতেও নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের।
বরফ গলানোর জন্য সাইডওয়াকগুলিতে প্রতিনিয়ত লবণ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুব একটা প্রয়োজন না থাকলে ঘরবন্দি হয়েই থাকছেন বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঠান্ডা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত সপ্তাহ থেকে বেজিংয়ের স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে যেন চিনে বৈদ্যুতিন সংযোগের সমস্যা না দেখা দেয় সে কারণে ৮০০টি ড্রোন উড়িয়ে অচল বিদ্যুৎ খুঁটিগুলি সারিয়ে তোলা হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
স্থানীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রের দাবি, আগামী কয়েক দিনে শিংজিয়াং, শিচুয়ান, চংকিং, গুইজ়হোউ, গুয়াংশি, গুয়াংডং প্রদেশের তাপমাত্রা আরও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।