বলিপাড়ায় সবেমাত্র পা রেখেছেন। সলমন খান অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে নিজের জায়গা করে ফেলেছেন টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির কন্যা পলক তিওয়ারি।
২২ বছরের পলককে প্রায়শই সাহসী অবতারে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় ইনস্টাগ্রামে। তবে বার বার তাঁর তুলনা করা হয় মা শ্বেতার সঙ্গে। ৪২ বছরে পা দিলেও লাবণ্য কোনও অংশে কমেনি নায়িকার।
এখনও লাস্যময়ী রূপে, স্বল্প পোশাকে দেখা যায় শ্বেতাকে। কয়েক দিন আগেই মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলের রুমে ফোটোশুট করতে দেখা যায় শ্বেতাকে।
শ্বেতার পরনে ছিল সাদা রঙের ব্রালেট এবং কালো রঙের মিনি স্কার্ট। স্বল্প পোশাকের সঙ্গে অভিনেত্রী পরেছিলেন মানানসই জুয়েলারি। কখনও শরীরে আলগা ভাবে এলিয়ে দিয়েছিলেন কালো রঙের জ্যাকেট। কখনও বা জ্যাকেট পরার প্রয়োজন বোধই করেননি তিনি।
শ্বেতার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। নেটব্যবহারকারীদের একাংশের মতে, ‘হট মম গোলস’ পূরণ করে চলেছেন শ্বেতা। অভিনেত্রীর যে ২২ বছর বয়সি কন্যা রয়েছে তা নাকি দেখে বোঝাই যায় না।
শ্বেতার লাস্যময়ী লুক নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পলককে দেখা যায় নয়া অবতারে। পলকের পরনে আঁটসাঁট পোশাক। হলুদ রঙের ব্রালেটের সঙ্গে বেছেছেন একই রঙের মিনি স্কার্ট।
কিন্তু পলকের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। নেটব্যবহারকারীদের একাংশের মতে, নবাগতা অভিনেত্রীদের মধ্যে জায়গা করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু অধিকাংশের অনুমান, পলকের আসল ‘প্রতিযোগী’ তাঁর মা।
কিছু দিন আগেই শ্বেতা স্বল্প পোশাকে ধরা দিয়েছেন। মাকে টেক্কা দিতেই ফোটোশুট করিয়ে ফেলেছেন পলক। আদতে মাকে নিয়ে নাকি হীনম্মন্যতায় ভোগেন অভিনেত্রী। এমনটাই দাবি করেছেন নেটব্যবহারকারীদের একাংশ।
কারও মতে, মায়ের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমে জিততে চাইছেন পলক। সমাজমাধ্যমে তাই ঘন ঘন ছবি পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
অভিনেত্রীদের নিয়ে সাধারণত আলোচনা-সমালোচনা চলতেই থাকে। কেউ বিষয়গুলি নিয়ে সরব হন, কেউ আবার নিশ্চুপ থাকেন। তবে পলককে এই ক্রমাগত আক্রমণ সহ্য করতে পারেননি অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করার পর মন্তব্যের অংশ চালু রেখেছিলেন পলক। কিন্তু ছবির তলায় নেটব্যবহারকারীদের নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন অভিনেত্রী।
ছবির তলায় যেন নেটব্যবহারকারীরা কোনও রকম মন্তব্য করতে না পারেন সেই ব্যবস্থাই নিয়েছেন পলক। ‘কমেন্ট সেকশন’ বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই পলকের ছবিতে তিন লক্ষের বেশি অনুরাগী ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। কিন্তু ‘কমেন্ট সেকশন’ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন পলকের অনুরাগীরা। তাঁরা মন্তব্য করতে চাইলেও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।
মনে করা হচ্ছে, সমাজমাধ্যমে শ্বেতা এবং পলক সংক্রান্ত নেতিবাচক মন্তব্যকে ঘিরে যেন নতুন কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ করেছেন পলক। মায়ের সঙ্গে তুলনা করে এই ধরনের মন্তব্য একদমই পছন্দ করেননি পলক।