প্রায় ১৮ মাস পরে ভারতের হয়ে আবার একসঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার কথা ছিল রোহিত-বিরাট জুটির। ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলবে আফগানিস্তান। সেখানেই ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহারথীর খেলার কথা ছিল।
প্রথম ম্যাচ বৃহস্পতিবার মোহালিতে। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণে খেলবেন না বিরাট।
সেই ম্যাচে কেমন হতে চলেছে ভারতের প্রথম একাদশ? থাকতে পারেন কোন কোন ক্রিকেটার?
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক): আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দলে ফেরানো হয়েছে রোহিতকে। তিনি দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে ওপেন করবেন। নেতৃত্বও দেবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের জার্সিতে খেলানো হচ্ছে রোহিতকে। তিনটি ম্যাচেই তাই রোহিতকে খেলানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যশস্বী জয়সওয়াল: রোহিতের সঙ্গে শুভমন নয়, দেখা যেতে পারে যশস্বীকে। বাঁহাতি তরুণ ওপেনারের উপর ভরসা রাখতে পারে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঢোকার জন্য যশস্বীর লড়াই শুভমনের সঙ্গে। তাঁদের দু’জনকেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দলে রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হতে পারে যে কোনও এক জনকেই। প্রথম ম্যাচে পাল্লা ভারী যশস্বীর। ব্যর্থ হলে শুভমন তো রইলেন পরের দু’টি ম্যাচে খেলার জন্য।
শুভমান গিল: কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ওপেনার হিসাবে রোহিতের সঙ্গে নামবেন যশস্বী। আর তার পরেই নামার কথা বিরাটের। কিন্তু কোহলি না খেলায় এখন সেই জায়গায় খেলতে পারেন শুভমন গিল। তরুণ এই ব্যাটার ওপেনার হিসাবে আগেই প্রমাণ করেছেন নিজেকে। কিন্তু বিরাটের অভাব পূরণ করতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার।
সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক): ঈশান কিশন বা লোকেশ রাহুল নয়, এই সিরিজ়ে দলে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। তরুণ জীতেশ শর্মার চেয়ে সঞ্জুর পাল্লা কিছুটা হলেও ভারী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সঞ্জু চাইবেন নিজেকে প্রমাণ করে দলে জায়গা পাকা করতে।
তিলক বর্মা: মিডল অর্ডার সামলানোর ভার থাকতে পারে তিলক বর্মার কাঁধে। প্রয়োজনে অফ স্পিন বলও করতে পারেন তিনি। ২১ বছরের এই ব্যাটার এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩১০ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪১.৫৫। দু’টি অর্ধশতরানও করেছেন তিলক।
শিবম দুবে: হার্দিক পাণ্ড্যের চোট রয়েছে। সেই জায়গা নিতে পারেন শিবম দুবে। তিনি বাঁহাতি ব্যাটার, সেই সঙ্গে মিডিয়াম পেস বল করেন। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নজর কাড়তে পারেননি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সুযোগ পেতে পারেন শিবম।
রিঙ্কু সিংহ: কিছু দিন আগেই রঞ্জি খেলছিলেন রিঙ্কু। এ বার তিনি ভারতীয় দলে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে দেখা যাবে তাঁকেও। ফিনিশার হিসাবে দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু।
অক্ষর পটেল: অলরাউন্ডার হিসাবে দলে থাকবেন অক্ষরও। শেষের দিকে দলকে যেমন ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেন, তেমনই উইকেট তুলে নিতে পারেননি। তাঁর স্পিনের উপর ভরসা রাখতে পারে দল।
রবি বিষ্ণোই: অক্ষরের সঙ্গে থাকতে পারেন বিষ্ণোই। দলে কুলদীপ যাদবও রয়েছেন। তবে তরুণ বিষ্ণোইকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দেখে নেওয়া হতে পারে। কুলদীপের সঙ্গে দলে ঢোকার লড়াই হবে বিষ্ণোইয়ের।
মুকেশ কুমার: পেস আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে বাংলার মুকেশের উপর। মোহালির পিচে পেসারেরা সুবিধা পান। ভারত এখানে তিন পেসারে খেলার কথা ভাবতেই পারে। সে ক্ষেত্রে জায়গা হবে না শিবম দুবের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন জন পেসারই স্কোয়াডে রয়েছেন। তাই হয়তো দু’জন পেসার খেলানোর পরিকল্পনা নেবে ভারত।
আরশদীপ সিংহ: মুকেশের সঙ্গী হিসাবে থাকতে পারেন আরশদীপ সিংহ। বাঁহাতি পেসার নতুন বলে বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁকে ফর্মে চাইবে ভারত। মুকেশ এবং আরশদীপ খেললে জায়গা হবে না আবেশ খানের। তবে মোহালির পিচ দেখে যদি তিন পেসার খেলার পরিকল্পনা নেয় ভারত, তাহলে সুযোগ পাবেন আবেশ।