প্রথম ধাক্কাটা আসে যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে। চোটের ইয়র্কারে বিধ্বস্ত ভারতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়াদের তালিকার সর্বশেষ সংযোজন দীপক চাহার। দলে যোগ দিয়েছেন একাধিক নতুন মুখ। পাঁচ দিন পরেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তার আগে অনেকটাই পাল্টে গেল প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া বিশ্বকাপের দল। কেমন দেখতে হল নতুন দলকে? কারা রয়েছেন দলে? দেখে নেওয়া যাক।
রোহিত শর্মা: দলের অধিনায়ক। ১২২টি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলা হিটম্যান এই ফর্ম্যাটে ৪টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। প্রায় ১৪১-এর স্ট্রাইক রেটই বুঝিয়ে দেয় রোহিত ফর্মে থাকলে কী হতে পারে।
লোকেশ রাহুল: দলের সহ-অধিনায়ক। রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন তিনি। এই ডানহাতি ওপেনারেরও স্টাইক রেট ১৪০-এর উপরে। দুটো সেঞ্চুরি রয়েছে রাহুলের।
বিরাট কোহলি: এটাই হয়ত বিরাটের শেষ টি২০ বিশ্বকাপ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান চাইবেন এ বারের বিশ্বকাপে ছাপ ফেলতে। এই ফর্ম্যাটে প্রায় ৫১ গড় রয়েছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের।
সূর্যকুমার যাদব: অনেকেই তাঁর তুলনা করছেন এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক টি২০-তে ১৭৭ স্ট্রাইক রেটই বুঝিয়ে দেয় কতটা ভয়ঙ্কর ফর্মে রয়েছেন স্কাই।
হার্দিক পাণ্ড্য: ব্যাট হাতে যেমন ভয়ঙ্কর, বল হাতেও তেমনই ভরসা যোগাতে পারেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ জিততে রোহিতের বড় ভরসা হতে পারেন তিনি।
দীপক হুডা: এক ডজন আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলা হুডা যেমন মারকাটারি ব্যাট করতে পারেন, তেমনই বল হাতেও নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন।
ঋষভ পন্থ: টি২০-তে ঋষভের ব্যাট যে কোনও ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পারে। তাঁর বর্তমান স্ট্রাইক রেট ১২৭.৪৫ হলেও যে কোনও মুহূর্তেই বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষক।
দীনেশ কার্তিক: টি২০-তে এখনও পর্যন্ত দীনেশ ৫৬টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে নট আউট থেকেছেন ২২টি ম্যাচে। মোট প্রাপ্ত রান ৬৭২। টি২০-তে ১৪৬.৪০ স্ট্রাইক রেট থাকা ৩৭ বছর বয়সি ফিনিশার দীনেশের উপর দলের ভরসা থাকবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
অক্ষর পটেল: রবীন্দ্র জাদেজার বদলে ভারতের টি২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়েছেন অক্ষর। বর্তমানে তাঁর পারফর্ম্যান্স বেশ ভাল। এক সঙ্গে ব্যাট-বল দুই-ই সামলাতে পারেন অক্ষর। জাদেজার মতো দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: এই ডান হাতি স্পিনার অনেক দিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন। এখনও অবধি মোট ৫৯টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন রবি। উইকেট সংখ্যা ৬৬। হিসাব বলছে, প্রায় প্রতি ম্যাচেই গড়ে একটি-দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন রবি। তাই বিশ্বকাপে বাকি দলের ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে পাঠাতে তিনি হয়ে উঠতে পারেন ভারতীয় দলের সেরা যোদ্ধা।
হর্ষল পটেল: ভারতের হয়ে হর্ষল এখনও পর্যন্ত ২৩টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট পেয়েছেন ২৬টি। নীচের দিকে নেমে টুকটাক রান তোলারও ক্ষমতা রয়েছে এই পেসারের।
ভুবনেশ্বর কুমার: ভুবনেশ্বর আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ৭৯টি। প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যা ৮৫। তিনিও হর্ষলের দিকে ম্যাচের শেষে নেমে কিছু রান করার ক্ষমতা রাখেন। তবে রোহিতকে একটু হলেও ভাবাচ্ছে এই পেসারের ডেথে বল করার খারাপ ইতিহাস।
যুজবেন্দ্র চহাল: এই লেগস্পিনার এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৬৯টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। তাঁরও প্রাপ্ত উইকেটের সংখ্যা উপরের দিকেই। কিন্তু মাঝেমধ্যেই অন্য দলের ব্যাটারদের কাছে মার খেতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মহম্মদ শামি: শামির আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তুলনামূলক ভাবে কম। ১৭ ম্যাচে প্রাপ্ত উইকেটের সংখ্যা ১৮টি। বুমরার বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন এই পেসার। তবে অন্যান্য ফরম্যাটের ক্রিকেটে ভাল বল করতে দেখা গিয়েছে শামিকে।
আরশদীপ সিংহ: কিছু দিন আগে এশিয়া কাপ চলাকালীন বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন আরশদীপ। ১৩টি আন্তজার্তিক টি-২০ ম্যাচে উইকেট রয়েছে ১৯টি। তবে বাঁহাতি এই তরুণ পেসার ইতিমধ্যেই তাঁর বোলিংয়ের জন্য অনেকের নজর কেড়েছেন।
শ্রেয়স আয়ার: ডান হাতি ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আপাতত রয়েছেন রিজার্ভে। ৪৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে রান পেয়েছেন ১০৩০। স্ট্রাইক রেট ১৩৬.০৬ যা বেশ ভালই। দরকার হলে ভারতীয় দলের বিশ্বাসযোগ্য ভরসা হয়ে উঠতে পারেন আইপিএলে নাইট অধিনায়ক।
শার্দূল ঠাকুর: বোলিং অলরাউন্ডার শার্দূলও রয়েছেন রিজার্ভে।
মহম্মদ সিরাজ: সিরাজ রিজার্ভে থাকলেও তিনিও ভাল বোলার হিসাবেই পরিচিত। প্রয়োজনে দলের হাল ধরতে বিশ্বস্ত সৈনিক প্রমাণিত হতে পারেন এই ডানহাতি পেসার।
রবি বিষ্ণোই: লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোইকেও রাখা হয়েছে রিজার্ভে।