Garib Boi

কিনেছেন এসইউভি, মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা! এখন আর মোটেই গরিব নন ইউটিউব কাঁপানো ‘গরিব বয়’

সাওয়ানের করা সব ভিডিয়োই শুরু হত ‘ম্যায় গরিব হুঁ, ম্যায় গরিব হুঁ’ লাইন দিয়ে। এই কারণে নেটিজেনরা তাঁর ভিডিয়ো যেমন পছন্দ করতে শুরু করেন, তেমন সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল সাওয়ানকে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৪০
Share:
০১ ১৮

‘ম্যায় গরিব হুঁ, ম্যায় গরিব হুঁ’! এই কথা শুনিয়ে মাত্র এক-দেড় বছরেই সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছিলেন সাওয়ান মাহালি। আর জনপ্রিয়তা পাওয়ার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে স্বপ্নের গাড়ি কিনলেন সমাজমাধ্যমের ‘গরিব বয়’। হ্যাঁ, নেটিজেনরা তাঁকে চেনেন এই নামেই। শূন্য থেকে শুরু করা সাওয়ান বর্তমানে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক।

০২ ১৮

২০০৩ সালে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে সাওয়ানের জন্ম। ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্রে। টানাটানির সংসারের মধ্যেই সাওয়ান এবং তাঁর ভাই পবনকে লালন-পালন করেছেন তাঁদের মা-বাবা।

Advertisement
০৩ ১৮

ছোটবেলায় জামশেদপুরেরই একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেন সাওয়ান। টাকার অভাবে দামি বেসরকারি স্কুলে ছেলেদের ভর্তি করাবেন, সেই সাধ্যি সাওয়ানের বাবার ছিল না।

০৪ ১৮

স্কুলে পড়তে পড়তেই সাওয়ান সমাজমাধ্যমের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিভিন্ন ইউটিউবার এবং টিকটকারের ভিডিয়ো দেখে ঠিক করেন তিনিও ভিডিয়ো করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন।

০৫ ১৮

ইচ্ছা হলেই তো হয় না। ছেলেকে দামি স্মার্টফোন কিনে দেবেন সেই সামর্থও তাঁর বাবার ছিল না। সাওয়ান নিজেই কষ্ট করে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল জোগাড় করেন।

০৬ ১৮

সেই থেকে পথ চলা শুরু। ছোট ছোট ভিডিয়ো বানিয়ে তা টিকটকে পোস্ট করতে শুরু করেন সাওয়ান। অন্য কোনও বিষয়ের থেকে নিজের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা টিকটকে বেশি করে তুলে ধরেন তিনি।

০৭ ১৮

গরিব হওয়ার কারণে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, সেই কথাও এই সব ভিডিয়োতে তুলে ধরতে থাকেন সাওয়ান। এই সব ভিডিয়োতে মাঝেমাঝে দেখা যেত তাঁর মাকেও।

০৮ ১৮

সাওয়ানের করা সব ভিডিয়োই শুরু হত ‘ম্যায় গরিব হুঁ, ম্যায় গরিব হুঁ’ লাইন দিয়ে। এই কারণে নেটিজেনরা তাঁর ভিডিয়ো যেমন পছন্দ করতে শুরু করেন, তেমন সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল সাওয়ানকে।

০৯ ১৮

ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করেন সাওয়ান। তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিম এবং হাসির ফোয়ারা ছোটা শুরু হয়। তাঁর ভিডিয়ো নিয়ে মজা করতে শুরু করেন অনেক সেলেব্রিটি ইউটিউবারও।

১০ ১৮

এত সমালোচনার মুখে পড়েও সাওয়ান দমেননি। বরং সমাজমাধ্যম জুড়ে হাসির পাত্র হওয়া আখেরে ‘শাপে বর’ হয়েছিল তাঁর। প্রচুর মানুষ সাওয়ানের ভিডিয়ো দেখতে শুরু করেন। টিকটক করা শুরুর দেড়-দু’বছরের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। টিকটক থেকে টাকাও আয় করতে শুরু করেছিলেন সাওয়ান।

১১ ১৮

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভারতে টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ইউটিউবে মনোযোগ দেন সাওয়ান। টিকটক থেকে উপার্জন করা খ্যাতির জোরে ইউটিউবেও তাঁর চ্যানেল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১২ ১৮

ইউটিউবে ছোট ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করার পাশাপাশি সাওয়ান জীবনধারা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগিংও শুরু করেন।

১৩ ১৮

তবে যে কারণে তিনি ভাইরাল সেই ধরনের ভিডিয়ো বানানো সাওয়ান কখনও বন্ধ করেননি।

১৪ ১৮

বর্তমানে সাওয়ানের ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ।

১৫ ১৮

ইউটিউব থেকে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন সাওয়ান। পরিবারেও স্বচ্ছলতা এসেছে। সম্প্রতি উপার্জন করা টাকা থেকে নিজের জন্য একটি এসএউভি কিনেছেন তিনি।

১৬ ১৮

১৯ বছরের সাওয়ান এখন ঝাড়খণ্ডের একটি কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করছেন। কলেজ এবং কলেজের বাইরে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা অনেক। প্রায় নিয়ম করেই নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

১৭ ১৮

এখনকার সাওয়ানের সঙ্গে আগের সাওয়ানকে মেলানো কঠিন। আগে স্কুলের বা ছেঁড়াফাটা পোশাকে ভিডিয়ো করতে দেখা যেত সাওয়ানকে। তার থেকে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এখন সাওয়ানকে দেখা যায় কেতাদুরস্ত পোশাকে। তাঁর এখন বাহারি চুল। চলন-বলনেও বেশ পরিবর্তন এসেছে তাঁর।

১৮ ১৮

নিন্দকদের মতে ‘গরিব’ থেকে ‘বড়লোক’ হওয়ার পর সাওয়ানের ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। অনেকের মতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে ‘ন্যাকা কান্না’ কেঁদে সহানুভূতি অর্জন করেছেন সাওয়ান। তবে যে যা-ই বলুক, কারও কথাতেই পাত্তা না দিয়ে একের পর এক ভিডিয়ো বানিয়ে চলেছেন সমাজমাধ্যমের ধনী ‘গরিব বয়’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement