‘ফর আ মোমেন্ট অব এক্সট্রিম প্লেজার’— চরম সুখের কয়েক মুহূর্তের জন্য কত কিছুই কবুল করেন মানুষ! তবে সেই সুখানুভূতিরও প্রকারভেদ রয়েছে। কেউ অল্পে সন্তুষ্ট। কারও সন্তুষ্টি বা তৃপ্তিবোধের লাগাম নেই কোনও। লাগামছাড়া সেই সব মুহূর্তের রেকর্ডও আছে! ‘তর-সুখ’ থেকে ‘তম-সুখে’ পৌঁছনোর পরের সেই সব তথ্য চমকে দিতে পারে। এমনই কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে একটি ব্রিটিশ ওয়েবসাইট।
ওই ওয়েবসাইট দাবি করেছে, বেশ কিছু রেকর্ডের লিখিত কোনও তথ্য বা প্রমাণ নেই। যেমন, ম্যারি ম্যাগডেলেন নামে এক মহিলার দাবি, তিনিই বিশ্বের স্থূলতম যৌনাঙ্গের অধিকারী। তবে সেই দাবিকে অনুমান ছাড়া আর কোনও পর্যায়ে রাখতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা।
ম্যাগডেলেনের দাবি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে অ্যানা সোয়ানকে নিয়ে এক রকম নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। ১৯ শতকের এই কানাডিয়ান নারীই নাকি পৃথিবীর বৃহত্তম যোনির অধিকারী ছিলেন। তাঁর গোপনাঙ্গের বিস্তৃতি ছিল ১৯ ইঞ্চি!
অ্যানাকে অবশ্য শুধু এই একটি বৈশিষ্ট্যে বিচার করা ঠিক নয়। অ্যানা ছিলেন এক জন অভিনেত্রী, প্রশংসিত গায়িকাও। তাঁর মেধাও বিভিন্ন মহলের প্রশংসা পেয়েছে। তবে এই অ্যানাই এক সময়ে সার্কাসে কাজ করতে শুরু করেন। তাঁর ৭ ফুট ১১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের চেহারা তাঁকে ‘দৈত্যাকৃতি নারী’র শিরোপা দিয়েছিল। শুধু তাঁকে দেখতেই সার্কাসে ভিড় জমত। ১৮৮৮ সালে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে অ্যানার মৃত্যু হয়।
ওই ওয়েবসাইটের দাবি, পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যের নজির রয়েছে রবার্তো এসকিভো কাবরেরা নামে এক ব্যক্তির। মেক্সিকোর সালটিলোর বাসিন্দা এই পুরুষের গোপনাঙ্গের দৈর্ঘ্য ১৮.৯ ইঞ্চি।
রবার্তো তাঁর এই বৈশিষ্ট্যের জন্য ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন। খ্যাতি নিয়ে গর্ববোধও রয়েছে তাঁর। কিন্তু তাঁর আফসোস, গিনেস বুকে এই রেকর্ড রাখার কোনও বিভাগ নেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘খ্যাতির কারণ নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র বিব্রত নই। বরং গিনেস বুকে নাম তোলার ইচ্ছে ছিল। সেটা হল না।’’
স্বমেহনেরও রেকর্ড আছে। তৃপ্তি পেতে সর্বোচ্চ কত ক্ষণ ব্যয় করেছেন কোনও মহিলা বা পুরুষ? উত্তর— ৯ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট।
রেকর্ডের দাবিদার এক জাপানি পুরুষ। নাম মাসানোবু সোতো। তিনি নিজের রেকর্ডই সম্প্রতি ভেঙেছেন। আগের থেকে আরও ২৮ মিনিট বেড়েছে তাঁর তৃপ্তিতলাশ।
এক ঘণ্টায় কত বার অরগ্যাজম বা সুখানুভূতির চূড়ায় পৌঁছনো যেতে পারে? এ ব্যাপারে নারীরা টেক্কা দিয়েছেন পুরুষদের। ক্যালিফোর্নিয়ার এক যৌনবিষয়ক গবেষণাকারী সংস্থা জানিয়েছে, এক ঘণ্টায় এক মহিলা ১৩৪ বার সুখমুহূর্তে সীমা ছুঁয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে দু’বার!
পুরুষদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা অনেক কম। এক ঘণ্টায় এক জন পুরুষ সর্বোচ্চ ১৬ বার বীর্যস্খলন করতে পেরেছেন।
ওই ওয়েবসাইটের দাবি, দীর্ঘতম যৌনমিলনের রেকর্ড রয়েছে এক পর্নতারকার। নাম লিজা স্পার্ক। লিজা টানা ১২ ঘণ্টা রতিক্রিয়ায় লিপ্ত ছিলেন। একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন ৯১৯ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলন হয় তাঁর।
এর আগে ১২ ঘণ্টায় ৭৫৯ জনের সঙ্গে সঙ্গমের রেকর্ড ছিল। লিজা সেই রেকর্ড ভাঙার পর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি এতটাই ‘বোরিং’ ছিল যে, তিনি ম্যাকডোনাল্ডস থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়েওছিলেন ওই সময়ে।
বীর্যপাত সংক্রান্ত একটি রেকর্ডের লিখিত নথি না থাকলেও বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। হর্স্ট স্কাল্জ নামে আমেরিকার এক ব্যক্তি চূড়ান্ত মুহূর্তে শরীর থেকে ১৮ ফুট ৯ ইঞ্চি দূরে বীর্যপাত করেছিলেন বলে বহুল প্রচলিত একটি কাহিনি চালু রয়েছে নেটমাধ্যমে।
মুশকিল হল, এই হর্স্ট স্কাল্জ নামে যেমন এক ফুটবল খেলোয়াড় রয়েছেন, তেমনই এক জন আইনজীবী, স্থপতিও রয়েছেন। উক্ত আমেরিকান ব্যক্তিটির অস্তিত্ব আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি কোথাও।
শেষে শুরুর কথা। দীর্ঘতম চুম্বনের রেকর্ড রয়েছে তাইল্যান্ডের এক দম্পতির। টানা ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড দীর্ঘায়িত হয়েছিল তাঁদের চুম্বনপর্ব।
চুম্বনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এই দম্পতি। ওই ৫৮ ঘণ্টায় চুম্বনরত অবস্থায় তাঁরা জল খেয়েছেন, শৌচাগারেও গিয়েছেন। তবে, এ সবই দাবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ নেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। উপরিউক্ত ঘটনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, যৌনাচার এবং যৌনযাপন নিয়ে মানুষের কল্পনা এখনও অমলিন।