বলিপাড়া যখন কিয়ারা আডবাণী এবং সিদ্ধার্থ মলহোত্রের বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্বে মেতে উঠেছে, ওই সময়েই বিয়ে সেরে ফেললেনকেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কন্যা শানেল। প্রবাসী ভারতীয় অর্জুন ভল্লার সঙ্গে ৯ ফেব্রুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন শানেল।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজস্থানের খিমসর দুর্গ শানেল এবং অর্জুনের বিয়ে উপলক্ষে সেজে উঠেছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন না বলিপাড়ার তারকারা। অতিথিদের তালিকায় ছিলেন না নেতা-মন্ত্রীরাও। ৫০ জন অতিথি নিয়ে রাজস্থানের ওই হেরিটেজ হোটেলেই বিয়ে সারেন যুগল। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরা। তা ছাড়া ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ।রাজস্থান থেকে ফিরে আসার পর মুম্বইয়ে এক তারকাখচিত রিসেপশনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
টিনসেল নগরীতে ‘ফোর সিজ়নস হোটেল’-এ শানেল এবং অর্জুনের রিসেপশন পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। এই পার্টিতে নেমে এসেছিল বলি তারকাদের ঢল। বাদ পড়েননি টেলিভিশনের তারকারাও। শানেলের রিসেপশন পার্টিতে এসেছিলেন শাহরুখ খান। কালো রঙের কোট-প্যান্টেই অভিনেতা ছিলেন নজরকাড়া।
শাহরুখের পাশাপাশি রিসেপশন পার্টিতে এসেছিলেন একতা কপূর। সঙ্গে ছিলেন একতার বাবা জীতেন্দ্রও।
অতিথিদের তালিকায় ছিলেন মৌনী রায়ও। ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকে স্মৃতির সহ-অভিনেত্রী ছিলেন মৌনী। অভিনেত্রীর সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর স্বামী সূরয নাম্বিয়ার।
সবুজ রঙের সেকুইন শাড়ি পরেছিলেন মৌনী। অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করে শানেল এবং অর্জুনকে নতুন যাত্রা শুরু করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের স্মৃতির সহ-অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছিলেন রণিত রায়। স্মৃতি-কন্যার রিসেপশন পার্টিতে সস্ত্রীক উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রণিতও তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নীলম, স্মৃতি এবং অভিনেতা রবি কিষণ। ছবি পোস্ট করে রণিত জানান, ‘‘বহু বছরের বন্ধুত্ব। কিন্তু আমাদের ভালবাসা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।’’ যুগলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অভিনেতা।
রিসেপশনে স্মৃতি পরেছিলেন লাল শাড়ি। তাঁর কন্যা শানেলের পরনে ছিল একটি নীল রঙের শাড়ি।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সমাজমাধ্যমে মেয়ে শানেলের বাগ্দানের কথা জানিয়েছিলেন স্মৃতি। সেই পোস্টে অর্জুনকেও নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
অর্জুন পেশায় আইনবিদ। তিনি স্মৃতির স্বামী জুবিন ইরানির প্রথম পক্ষের সন্তান। জুবিন এবং মোনার সন্তান।
স্মৃতি এবং জুবিনের এক পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছেন। নাম জ়োহর এবং জ়োইশ।
রাজস্থানের যে দুর্গে বিয়ে করেছিলেন শানেল এবং অর্জুন, তা তৈরি হয়েছিল পঞ্চদশ শতকে। এখন এটি হেরিটেজ হোটেল। বুধবার সড়কপথে রাজস্থানের নাগোরে পৌঁছন স্মৃতিরা।
নাগোরেই রয়েছে এই খিমসর দুর্গ। বুধবার থেকে সেখানে চলেছে মেহেন্দি এবং হলদির আসর। বৃহস্পতিবার গাঁটছড়া বাঁধেন শানেল এবং অর্জুন।
সূত্রে খবর, সাদা ঘোড়ায় চেপে এসেছিলেন বর অর্জুন। শানেলের পরনে ছিল লাল রঙের লেহঙ্গা। তাঁর মা স্মৃতি পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসি। গলায় ছিল লাল বিডস হারের সোনার লকেট।