খান ও কপূরেরা একচেটিয়া হিন্দি সিনেমার জগৎ কাঁপিয়ে আসছেন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বলিউড তারকাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহিদ কপূর।
১৯৯৯ সালে ‘তাল’ সিনেমায় একটি নাচের দৃশ্যে তাঁকে এক ঝলক দেখা গেলেও শাহিদের প্রথম ছবি ‘ইশ্ক ভিশ্ক’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। সিনেমা হিট হওয়ায় তাঁর সাফল্যের দরজা খুলে যায়।
এর পর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দর্শকদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন একের পর এক ব্লকবাস্টার। দর্শকের ভালবাসার সঙ্গে আইফা, ফিল্মফেয়ার, স্টারডাস্ট-এর মতো অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন পর পর।
যে সময় শাহিদ সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছিলেন, ঠিক সেই সময়েই বক্স অফিস কাঁপাচ্ছিলেন বলিউডের আর এক তারকা, হৃতিক রোশন।
২০০৩ সালেই হৃতিক অভিনীত ‘কোই মিল গয়া’ মুক্তি পায়। ‘জাদু-রোহিত’ জুটি তখন ছোট থেকে বড় সবার মন জুড়ে রয়েছে।
‘ইটি দ্য এক্সট্রা টেরেস্টিয়াল’ নামের হলিউ়ডের জনপ্রিয় সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত ‘কোই মিল গয়া’-তে হৃতিক অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন।
অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এবং এক সাধারণ দর্শক হিসেবে সিনেমাটি হলে দেখতে গিয়েছিলেন শাহিদও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখার পর শাহিদ এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যে হল থেকে বেরিয়ে রিকশা করে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি।
তবে তাঁর হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়ার পেছনে কারণ ছিল ভিন্ন। প্রায় ১১ বছর পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি ওই ভাবে সিনেমা হল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ জানিয়েছিলেন।
২০০৪-এ আইফা অ্যাওয়ার্ড প্রেস মিটে হৃতিকের সঙ্গে সামনা সামনি সাক্ষাৎ হয় তাঁর। ‘ইশ্ক ভিশ্ক’ সিনেমার সাফল্যের সূত্রে শাহিদ সেখানে গিয়েছিলেন। অভিনেতা হিসেবে তিনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন।
‘কোই মিল গয়া’ দেখতে যাওয়ার সময় শাহিদ তাঁর কেনা প্রথম স্পোর্টস্ বাইকে চড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হৃতিকের অভিনয় দেখে তিনি এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে তাঁর নিজের অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে সংশয়ে ভুগতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তাই ওই ভাবে হল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এক জন অভিনেতার কাছে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?