২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ভারতীয় অর্থব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে। সেই সময় ৫০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসে। ২০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নতুন নোটও ছাপানো হয়। আর এর পর থেকেই বাড়ে ডিজিটাল লেনদেন। কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা নির্দিষ্ট ইউপিআই (ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস) আইডির মাধ্যমে এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেন শুরু হয়। বিভিন্ন দেশে ইউপিআই স্বীকৃত হলেও সে ভাবে লেনদেন এই মাধ্যমে হয় না। ভারত যদিও চাইছে এই লেনদেন বাড়াতে। কিন্তু তেমন ভাবে এখনও সাড়া মেলেনি।
গুগলপে, ফোনপে, পেটিএম প্রভৃতি ইউপিআই অ্যাপের ব্যবহার রমরমিয়ে বাড়তে থাকে।
ডিজিটাল মাধ্যমে টাকার লেনদেন বাড়তে থাকলে ভারতের তরফে ভিম (ভারত ইন্টারফেস ফর মানি) অ্যাপ চালু করা হয়। ভারতে ব্যবহৃত এই অ্যাপগুলি এনপিসিআই (ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
সমীক্ষায় জানা যায়, শুধু মাত্র সেপ্টেম্বরেই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ১১ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
তবে, ভারতীয় ইউপিআই এবং রুপে কার্ডের মাধ্যমে শুধু ভারতেই নয়, আরও সাতটি দেশে এর মাধ্যমে টাকাপয়সার লেনদেন করা যায়।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে সিঙ্গাপুরে সর্বপ্রথম ভারতীয় ইউপিআই ব্যবস্থা এবং রুপে কার্ডের প্রচলন হয়।
তার ঠিক এক বছর পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে ভুটানে চালু হয় ভারতীয় ইউপিআই, রুপে কার্ড এবং ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেনের যাবতীয় পেমেন্ট সিস্টেম।
একই বছর সিঙ্গাপুরেও ভারতীয় ডিজিটাল মাধ্যম এবং রুপে কার্ডের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন শুরু হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেপালে এবং একই বছরের এপ্রিল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই সিস্টেম চালু হয়।
২০২২ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, ফ্রান্সেও ভারতীয় ইউপিআই এবং রুপে কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন শুরু হবে।
সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ওমান। ওমান বিশ্বের সপ্তম দেশ যেখানে ভারতীয় ইউপিআই এবং রুপে কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা শুরু হবে।