বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে ‘লিও’। পর্দায় থালাপতি বিজয় বনাম সঞ্জয় দত্তের যুদ্ধ। প্রথম দিনেই গোটা দেশে ৬৮ কোটি টাকা আয় করেছে এই ছবি। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় দিনে ছাপিয়ে যাবে ১০০ কোটির গণ্ডি। ছবির অভিনেতাদের হাতে কত কোটি এল?
২০২১ সালে বিজয়কে নায়ক করে ছবি করেছিলেন লোকেশ কানগরাজ। নাম ‘মাস্টার’। সেই ছবি ছিল ব্লকব্লাস্টার হিট। প্রথম দিনেই কোটি কোটি টাকা আয় করেছিল ছবিটি।
তার পর আরও এক বার জুটি বাঁধেন বিজয় আর কানগরাজ। এ বারও কি অব্যাহত থাকতে চলেছে সেই রেকর্ড? প্রথম দিন গোটা দেশ থেকে ছবি যা আয় করল, তাতে মনে করা হচ্ছে ‘মাস্টার’-এর সাফল্য ধরে রাখতে সমর্থ হবেন এই তারকা-জুটি।
‘লিও’ ছবিটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৩০০ কোটি টাকা। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম, হিন্দি— একই সঙ্গে এই পাঁচ ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ছবি।
মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন থালাপতি বিজয়। তিনি ছাড়াও ছবিতে রয়েছে সঞ্জয় দত্ত, তৃষা, অর্জুন, গৌতম বাসুদেব মেনন, মিসকিন, মনসুর আলি খান, প্রিয়া আনন্দ।
ছবিতে অভিনয় করে কত টাকা পেয়েছেন সঞ্জয়? কত টাকাই বা পেয়েছেন বিজয়? এক এক জনের পারিশ্রমিক শুনতে বিস্মিত হতে হবে।
‘লিও’-এর মাধ্যমে তামিল ছবিতে হাতেখড়ি হল সঞ্জয়ের। এই ছবিতে তিনি মূল ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রের নাম অ্যান্টনি দাস। অ্যান্টনির চরিত্রকে তিনি এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে, দেখলে শিউরে উঠতে হয়।
একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য আট কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন সঞ্জয়।
পার্থিবন ওরফে লিও দাসের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তৃষা। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম সাথ্যা। ছবিতে তৃষার পারিশ্রমিক ছিল পাঁচ কোটি টাকা।
হ্যারল্ড দাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্জুন সার্জা। তিনি এই ছবি থেকে পেয়েছেন এক কোটি টাকা।
দীপা অ্যান্ড্রিউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়া আনন্দ। তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৫০ লক্ষ টাকা।
আর থালাপতি? তিনি কত পেয়েছেন? তিনি দক্ষিণের সব থেকে ধনী তারকা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৬৬ কোটি টাকা।
একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘লিও’ ছবির জন্য ১২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন থালাপতি। তামিল সিনেমার জগতে পারিশ্রমিকের নিরিখে তিনি হলেন দ্বিতীয়। প্রথম রজনীকান্ত। একটি ছবি করে বিজয়ের থেকে বেশি পারিশ্রমিক পান তামিল ছবিতে একমাত্র থালাইভা রজনীকান্ত।
‘লিও’-র গল্প এক মধ্যবয়সি ব্যক্তিকে ঘিরে। হঠাৎই তাঁকে অনুসরণ করতে থাকেন দুই গ্যাংস্টার। তাঁরা দাবি করেন, লিও নাকি আসলে তাঁদের ভাই, যাঁর সঙ্গে বহু বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের পরিবারকে কী ভাবে বাঁচাবেন বিজয়, তা নিয়েই আবর্তিত হয় ছবির গল্প।
এই নিয়ে পঞ্চম ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করলেন বিজয় এবং তৃষা। এর আগে ঘিল্লি (২০০৪), তিরুপাচি (২০০৫), আথি (২০০৬), কুরুভি (২০০৮) ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁরা।
ছবিমুক্তির আগেই ২০০ কোটি টাকা আয় করেছে। ১২০ কোটি টাকায় নেটফ্লিক্সকে ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে। ছবিটি নেটফ্লিক্সে দেখানো হবে। আর চ্যানেলগুলির মধ্যে সান টিভিতে দেখানো হবে ছবিটি। তার বিনিময়ে প্রযোজককে ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে চ্যানেল।