পার্টি তো হবেই! মুক্তির প্রথম দিনে ১৫৬ কোটি। তার পর মাত্র ১৩ দিনেই ১,০০০ কোটির ব্যবসা।
‘আরআরআর’ কি এ বার বক্স অফিসের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে?
বক্স অফিসের রেকর্ড নিয়ে বোধ হয় বিশেষ মাথাব্যথা নেই পরিচালক এস এস রাজামৌলী বা ছবির অভিনেতা রামচরণদের। আপাতত তাঁরা ব্যস্ত জমিয়ে এ ছবির সাফল্য উদ্যাপন করতে।
২৪ মার্চ মুক্তির পর থেকে রাজামৌলীর ‘রাইজ-রোর-রিভোল্ট’ থুড়ি ‘আরআরআর’-এ মজে আমজনতা থেকে সমালোচকেরা। এ পিরিয়ড ড্রামায় আল্লুরি সীতারাম রাজুর ভূমিকায় রামচরণকে পছন্দ করেননি এমন দর্শকও বোধ হয় হাতেগোনা। কোমরাম ভীমের চরিত্রে জুনিয়র এনটি আরকেও ভুলতে পারছেন না অনেকে।
কুড়ির দশকে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর লড়াইয়ের কাহিনিকে কাল্পনিক পটভূমিকায় ফেলেছেন পরিচালক রাজামৌলী। তাতে রামচরণদের সঙ্গ দিয়েছেন অলিভিয়া মরিসের মতো ইংলিশ বা অ্যালিসন ডোডি এবং রে স্টিভেনসনের মতো আইরিশ অভিনেতা।
রাজামৌলীর ছবিতে রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর ছাড়াও স্বল্প সময়ের জন্য দেখা গিয়েছেন আলিয়া ভট্ট এবং অজয় দেবগণকে।
মূলত তেলুগু ভাষায় হলেও রাজামৌলীর এ ছবিটি একসঙ্গে আরও পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। তেলুগুর পাশাপাশি তামিল, কন্নড়, মালয়ালম এবং হিন্দিতে।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে ‘আরআরআর’-এর সাফল্য উদ্যাপনে হাজির হয়েছিলেন জুনিয়র এনটিআর, রামচরণরা। হাজির ছিলেন বলিউডের তাবড় তারকারাও।
আমির খান বা হুমা কুরেশিদের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্র, তুষার কপূর, জনি লিভার, জাভেদ আখতার, রাখি সবন্ত, কর্ণ জোহরের মতো মতো তারকাদের।
মুম্বইয়ের পার্টিতে রামচরণদের সঙ্গে আসর জমাতে দেখা গিয়েছে পালক তিওয়ারি, সতীশ কৌশিক, অয়ন মুখোপাধ্যায়, অশ্বিনী তিওয়ারি আয়ার এবং মাকরণ্ড দেশপাণ্ডেকেও।
পার্টি শুরু হতেই একে একে এসেছেন হুমা, অমিরেরা। হইহুল্লোড়ের মাঝে আমিরের সঙ্গে হাসিমুখে ‘পোজ’ দিতে ভোলেননি তাঁরা।
ফোটোগ্রাফারেরা ঘিরে ধরলে হাসিমুখে তাঁদের দাবি মিটিয়েছেন বছর সাতান্ন আমির।
আমিরের মতো কম যান না হুমাও। রেড কার্পেটে ‘পোজ’ দেওয়ায় তিনিও যে যথেষ্ট পটু, তা আরও এক বার বোঝা গিয়েছে।
আমিরকে দেখে এগিয়ে এসেছেন রাখি সবন্ত। হাত মিলিয়ে আলাপচারিতার ফাঁকে তিনিও ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। পাশে দেখা গিয়েছে অয়ন এবং কর্ণকেও।
তবে অনেকেরই নজর ঘুরছিল রামচরণের পায়ের দিকে। পুরোপুরি কালো কুর্তা-পাজামায় পার্টিতে এসেছিলেন তিনি। একমুখ গোঁফদাড়ি। কপালে তিলক। তবে খালি পায়ে কেন? অনেকেই কৌতূহলী।
আসলে, শবরীমালা মন্দিরের আয়াপ্পাস্বামীর ভক্ত রামচরণ ‘আয়াপ্পা দীক্ষা’-র ব্রত করছেন। ফলে ৪১ দিন পর্যন্ত তাঁকে নিরামিষাশী থাকতে হবে। গোঁফদাড়ি কাটা বা জুতো পরা যাবে না। পরতে হবে কালো পোশাকও।
৪১ দিনের ব্রত শেষে শবরীমালা মন্দিরে যাবেন রামচরণ। ফলে আজকাল এ অবতারে সবর্ত্র দেখা যাচ্ছে দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর পুত্রকে।