নব্বইয়ের দশকে কোনও ছবিতে নায়িকার মূল চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দিতে হলে সবার আগে যে অভিনেত্রীদের কথা মাথায় আসত তাঁদের মধ্যে অন্যতম করিশ্মা কপূর।
একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে, অনেকের মতে, করিশ্মার অহঙ্কার ছিল প্রবল। পূজা বাত্রা, রবিনা টন্ডন-সহ অন্য অভিনেত্রীদের তেমন পাত্তা দিতেন না তিনি।
মুখের উপর জবাব দেওয়ার সময়ও অভিনেত্রী পিছপা হতেন না কখনও। করিশ্মা সম্পর্কে কেউ কোনও খারাপ মন্তব্য করলেই সংবাদমাধ্যম অথবা কোনও পত্রিকার সাক্ষাৎকারে পাল্টা জবাব দিতেন তিনি।
এমনকি, করিশ্মার পরিবারের সদস্যরাও বাদ পড়েননি। বাড়ি থেকে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন করিশ্মা।
তাঁর প্রথম ছবি ‘প্রেম কয়েদি’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯১ সালে। হরিশ কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
এই ছবির একটি দৃশ্যে করিশ্মাকে সুইমস্যুট পরে অভিনয় করতে দেখা যায়। প্রথম ছবির মাধ্যমেই তিনি সাহসী অভিনেত্রী হিসাবে বড় পর্দায় আসতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু এই নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকেরা করিশ্মার প্রতি ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তাঁদের অনেকের মত ছিল, কপূর পরিবারের মেয়ে হয়ে অভিনয় করছে এ-ই অনেক।
এত ছোট পোশাক পরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ঋষি কপূর। ঋষির মতে, কপূর পরিবারের মেয়ে অভিনয় করেছে বলেই দর্শকরা ছবি দেখতে আসতেন। নায়িকা হিসাবে প্রচার পেতে সুইমস্যুট পরার কোনও দরকার ছিল না করিশ্মার।
কিন্তু পরবর্তীতে ঋষি কপূরের এই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছিলেন করিশ্মা। এক নামী পত্রিকার সাক্ষাৎকারে করিশ্মা জানান, এই দৃশ্যে অভিনয় করার প্রয়োজনে তিনি এই ধরনের পোশাক পরেছিলেন।
তিনি নিশ্চয়ই শাড়ি পরে সুইমিং পুলে নামতে পারতেন না। ছোট থেকে বড় সকলে এই পোশাক পরেই সাঁতার কাটতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন বলে জানান অভিনেত্রী।
ঋষি কপূরকে এমন পরোক্ষ ভাবেই পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন বলি পাড়ার লোলো।