৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার প্রথম পর্ব। এক দিকে যেমন মুক্তির আগেই অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে, অন্য দিকে এই ছবিকে বয়কট করার ডাকও দিয়েছেন অনেকে। এই সময়েই প্রকাশ্যে এল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির নায়ক রণবীর কপূরের বাবা প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কপূরের এক সাক্ষাৎকারের ঝলক।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে চা খেয়েছেন বলে কি তাঁর অনুশোচনা বোধ হয়?
উত্তরে ঋষি চমকে দিয়ে জানিয়েছিলেন, অনুশোচনা বোধ করেন না তিনি। বরং দাউদকে দেখে তিনি অনুপ্রেরণা পান।
ঋষি জানিয়েছিলেন, ১৯৮৮ সালে তিনি দাউদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিনেতা তাঁর কাছের বন্ধু বিট্টু আনন্দ এবং আরডি বর্মন-সহ আরও অনেকের সঙ্গে দুবাই গিয়েছিলেন। দুবাই নামার ঠিক পরেই নাকি এক অচেনা ব্যক্তি ঋষির কাছে এগিয়ে আসেন।
ফোন এগিয়ে দিয়ে বলেন ‘ভাই বাত করেঙ্গে’ (ভাই কথা বলবেন)। ফোনের ওপারে ডন দাউদ ইব্রাহিম। অভিনেতাকে চায়ের আসরে আমন্ত্রণ জানাতে চান তিনি।
অভিনেতাও তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। দাউদের সঙ্গে দেখা করে তিন-চার ঘণ্টা গল্পও করেছিলেন বলে জানান ঋষি।
অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি না দাউদের বাড়ি গিয়ে আমি কোনও ভুল করেছি। লোকে যত বলে, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে দাউদ সে রকম কিছুই করেননি।’’
যদিও দাউদের সঙ্গে দেখা করার পাঁচ বছর পর মুম্বই বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের নাম জড়িয়ে যায়।
ঋষি আরও জানিয়েছিলেন, দাউদকে অপরাধী হিসাবে দেখা হলে তিনিও সে ক্ষেত্রে অপরাধী হতে পারেন। তাঁর দাবি ছিল, দাউদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি তাঁর কাহিনিও জানতে পারবেন।
২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ডি-ডে’ ছবিতে তিনি দাউদ ইব্রাহিমের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় করার সময়ে দাউদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ঋষি।
দাউদ ছাড়াও তিনি অন্য অপরাধীদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ঋষি।
সাক্ষাৎকারের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় অনেকে ক্ষুব্ধ হন। কেউ কেউ বলেন, দাউদের মতো মাফিয়ারাই বলিউডে প্রভাব ফেলছেন।
আবার কেউ কেউ বলিউডকেই সম্পূর্ণ ভাবে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।
এর প্রভাব পড়ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির উপরেও। ঋষি-পুত্র রণবীর এবং কপূর পরিবারের পুত্রবধূ আলিয়া দু’জনেই এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করার কারণে সিনেমাটি বয়কট করার ডাক দিচ্ছেন দর্শকের একাংশ।