Assembly Elections 2023

লোকসভার ‘সেমিফাইনালে’ এগিয়ে কে? পাঁচ রাজ্যে কার কেমন অবস্থা? কী ফল ছিল গত ভোটে?

২০১৮ সালেও ছত্তীসগঢ়ে দুই দফায় এবং বাকি চার রাজ্যে এক দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। কিন্তু সেই বছর কোথায় কেমন ফল হয়েছিল? কে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল? কোন দল পুরনো সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪৬
Share:
০১ ২২

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম—পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।

০২ ২২

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ছত্তীসগঢ় বাদে বাকি চার রাজ্যে এক দফাতে ভোট হবে। মধ্যপ্রদেশে এক দফায় ভোট হতে চলেছে ১৭ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর রাজস্থানের সব ক’টি বিধানসভায় এক দফাতে ভোট হবে। তেলঙ্গানায় ভোট হবে ৩০ নভেম্বর। মিজ়োরামে ভোটগ্রহণ হবে ৭ নভেম্বর। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ছত্তীসগঢ়েই কেবল দু’দফায় ভোট হবে—৭ নভেম্বর এবং ১৭ নভেম্বর।

Advertisement
০৩ ২২

ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যেরই ভোটের ফলঘোষণা ৩ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত, রাজ্যগুলির মধ্যে মিজ়োরাম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৭ ডিসেম্বর। বাকি রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে জানুয়ারিতে।

০৪ ২২

২০১৮ সালেও ছত্তীসগঢ়ে দুই দফায় এবং বাকি চার রাজ্যে এক দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। কিন্তু সেই বছর কোথায় কেমন ফল হয়েছিল? কে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল? কোন দল পুরনো সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল?

০৫ ২২

ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা আসন ৯০টি। ২০১৮ সালে প্রথম দফার মাওবাদী উপদ্রুত ১৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ১২ নভেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ৭২টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ২০ নভেম্বর।

০৬ ২২

১৫ বছর বিরোধী থাকার পর ২০১৮ সালে ছত্তীসগঢ়ে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করে শাসক আসনে বসে কংগ্রেস। বিজেপির রমেন সিংহকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন ভূপেশ বঘেল। (এই প্রতিবেদন প্রথম বার প্রকাশিত হওয়ার সময় ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলকে প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়েছিল। যে তথ্য ভুল। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)

০৭ ২২

ছত্তীসগঢ়ের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০১৮ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬৮টি। বিজেপি পেয়েছিল ১৫টি। সিপিআই, বিসিপি এবং জেসিসি জোট পেয়েছিল ৫টি আসন।

০৮ ২২

মধ্যপ্রদেশ এবং মিজ়োরামে একই দিনে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল কমিশন। ২৩০টি আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট হয়েছিল ২৮ নভেম্বর।

০৯ ২২

২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। গদিচ্যুত হয় বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে সে বছর কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪ আসন। অন্য দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিজেপি জিতেছিল ১০৯টি আসন।

১০ ২২

তবে কংগ্রেসের শেষরক্ষা হয়নি। দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের সাহায্যে কংগ্রেসের দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সরকার ভেঙে দিয়ে পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান। আসন্ন নির্বাচনে সেই রাজ্যে সরাসরি লড়াইয়ে থাকছে বিজেপি এবং কংগ্রেস।

১১ ২২

২০১৮ সালের ৪০ আসনের মিজোরামেও বিধানসভা নির্বাচন সংগঠিত হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে সরিয়ে সরকার গঠন করে মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)। মুখ্যমন্ত্রী হন এমএনএফ নেতা জোরামথাঙ্গা।

১২ ২২

২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে এমএনএফ ২৬টি আসন জিতেছিল। অন্য দিকে কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৫টি আসন। মিজোরামে পরাজয়ের পর প্রথম উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল না কংগ্রেস।

১৩ ২২

মিজোরামের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্য মিজ়োরামে মূল লড়াই ক্ষমতাসীন মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের মধ্যে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

১৪ ২২

২০১৮ সালে ২০০ আসনের রাজস্থানে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। ফলঘোষণা হয় ১১ ডিসেম্বর। অশোক গহলৌতের নেতৃত্বে বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিধানসভা দখল করে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন গহলৌত। বিজেপিকে হারাতে সে বার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধে বিএসপি।

১৫ ২২

২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ১০০টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছিল ৭৩টি আসন।

১৬ ২২

তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এ বার ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। অন্য দিকে গদি বাঁচাতে মরিয়া কংগ্রেস। রণকৌশল তৈরি করে আসরে নেমেছে তারা। আসন্ন নির্বাচনে সে রাজ্যে যে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তা বলাই বাহুল্য।

১৭ ২২

বর্তমানে তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। সেখানে এ বার ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপির ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা।

১৮ ২২

২০১৪ সালের ২ জুন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে তেলঙ্গানা। মুখ্যমন্ত্রী হন কেসিআর। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে যায় ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল বিআরএস (তখন নাম ছিল টিআরএস বা তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি)। দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন কেসিআর।

১৯ ২২

২০১৮ সালে তেলঙ্গানা বিধানসভার ১১৯ আসনের মধ্যে ৮৮টি আসনে জিতেছিল বিআরএস (তখন নাম ছিল টিআরএস বা তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি)। কংগ্রেস জিতেছিল ১৯টি।

২০ ২২

পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেস, বিজেপি এবং আঞ্চলিক দলগুলি জোরকদমে ভোটপ্রচারে নেমেছে। এই রাজ্যগুলিতে কোনও দল আসরে নেমেছে ক্ষমতা ধরে রাখতে। কেউ নেমেছে ক্ষমতাসীন দলের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শাসকের গদিতে বসতে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলাফল লোকসভা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন ভোটপণ্ডিতদের অনেকে।

২১ ২২

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পাঁচ রাজ্যের মোট ৬৭৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এ বার মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬.১ কোটি। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৬০ লক্ষ। নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসাবে পাঁচ রাজ্যে গিয়েই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।

২২ ২২

পাঁচটি রাজ্যেই ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। মিজ়োরামে ১,২৭৬টি ভোটকেন্দ্র থাকছে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ২৪,১০৯, ৬৪,৫২৩, ৫১,৭৫৬, ৩৫,৩৫৬।

—ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement