এক জন তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তেলুগুর পাশাপাশি তামিল এবং বলিউড ছবিতেও নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন। অপর জন বলিউডে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও হাত পাকাতে শুরু করেছেন। প্রথম জন রকুলপ্রীত সিংহ। তিনিই সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি বড় পোস্ট দিয়েছেন। নিজের প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেছেন। অভিনয় জগতের দুই তারকা এ বার জুটি বাঁধতে চলেছেন ব্যক্তিগত জীবনেও!
২০০৯ সালে কন্নড় ছবি ‘গিল্লি’-তে অভিষেক হয় রকুলপ্রীতের। ২০১১ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য জয়ী হতে পারেননি। পঞ্চম স্থান থেকেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। তবে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন।
ওই বছরই একটি তেলুগু এবং একটি তামিল ছবিতে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। বলিউডও তাঁর কাছে খুব দূর ছিল না। তিন বছর পর ২০১৪ সালে ‘ইয়ারিয়াঁ’ নামে একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
রকুলপ্রীতের বাবা ছিলেন সেনা অফিসার। সেনা স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। রকুলপ্রীতের অভিনয় দক্ষতা সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি রকুলপ্রীত পড়াশোনাতেও অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন? দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে অঙ্কে স্নাতক তিনি।
রকুলপ্রীতের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কলকাতার সঙ্গেও যোগসূত্রের কথা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। রকুলপ্রীত নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। রকুলপ্রীত সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেতা-প্রযোজক জ্যাকি বাগনানির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন।
জ্যাকি কলকাতার ছেলে। কলকাতার এক সিন্ধি পরিবারে জন্ম তাঁর। স্কুলের পড়াশোনা এখানেই। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য মুম্বই চলে যান। মুম্বইয়ের এইচআর কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স থেকে বাণিজ্যবিদ্যায় স্নাতক।
রকুলপ্রীতের মতো জ্যাকিরও অভিনয়ে অভিষেক ২০০৯ সালে। ‘কাল কিসনে দেখা’ নামে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তারপর ‘আজব গাজব লভ’, ‘ইয়ঙ্গিস্তান’, ‘ওয়েলকম টু করাচি’, ‘কার্বন’, ‘মোহিনী’-র মতো একাধিক ছবি করেছেন।
পাশাপাশি ‘ওয়েলকম টু নিউইয়র্ক’, ‘বেল বটম’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’, ‘সর্বজিৎ’ হল তাঁর প্রযোজিত কিছু ছবি। অভিনয় জগতে আসার পরই রকুলপ্রীতের সঙ্গে পরিচয় তাঁর।
তবে এত দিন দু’জনের কেউই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। রকুলপ্রীত ৩১-এ পা দিয়েছেন। সেই খুশিতে নিজেই সম্পর্কের কথা প্রকাশ করলেন।
ইনস্টাগ্রাম-এ জ্যাকির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন রকুলপ্রীত। হাতে হাত রেখে একটি পার্কে হেঁটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। ছবির নীচে রকুলপ্রীত লেখেন, ‘এ বছর আমার সবচেয়ে বড় উপহার! আমার জীবনে রং যোগ করার জন্য ধন্যবাদ, সারা ক্ষণ আমার মুখে হাসি ধরে রাখার জন্য ধন্যবাদ।’
রকুলপ্রীতের এই ক্যাপশন-ই যথেষ্ট তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ বুঝে নেওয়ার জন্য। ফলে তাঁদের বিয়ে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১-এই কি সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তাঁরা?
সময় হলে অনুরাগীদের সঙ্গে সে খবরও ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রকুলপ্রীত। আপাতত দু’জনেই ব্যস্ত কেরিয়ার নিয়ে।