সাধারণ মানুষ যে বয়সে আসার পর তাঁদের অবসর জীবন কাটানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেন সেই বয়সে আসার পর জীবনের এক নতুন ধাপে পা রেখেছিলেন প্রতাপচন্দ্র রেড্ডি। বয়স তাঁর কাছে শুধু দুই অঙ্কের সংখ্যা মাত্র।
নব্বই বছর বয়সের গণ্ডি পার করে গেলেও নিয়মিত অফিসের জন্য তৈরি হন প্রতাপচন্দ্র। প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি।
সপ্তাহে এক দিন মাত্র ছুটি কাটান প্রতাপচন্দ্র। কাজের এতটাই নেশা যে নব্বই বছর বয়সেও সপ্তাহে ছ’দিন অফিস যান তিনি।
ভারতের প্রথম ৫০জন শিল্পপতির তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন প্রতাপচন্দ্র। ৫০ বছর বয়সে একটি বেসরকারি হাসপাতাল খোলেন তিনি।
বর্তমানে প্রতাপচন্দ্রের হাসপাতালের এতই পরিচিতি যে তার অন্তর্গত আরও ২১টি ভিন্ন সংস্থা খোলা হয়েছে। পাঁচ হাজারটি ওষুধের দোকান থেকে শুরু করে ২৯১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র, ডিজিটাল হেলথ পোর্টালও খোলা হয়েছে।
১৯৩৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশে জন্ম প্রতাপচন্দ্রের। খুব কম বয়সে সুচরিতা রেড্ডি নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি।
বিয়ের পর চার কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সুচরিতা। নিজের কন্যাদেরকেও ব্যবসার কাজ বুঝিয়েছেন প্রতাপচন্দ্র। চার কন্যাই সংস্থার উচ্চপদস্থ পদে রয়েছেন।
প্রতাপচন্দ্রের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে অভিনয়জগতের যোগও।
প্রতাপচন্দ্রের কন্যা শোভনা কামিনেনি এক দক্ষিণী অভিনেতার শাশুড়ি।
তেলুগু ফিল্মজগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রামচরণ ২০১২ সালে উপাসনা কামিনেনির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। উপাসনা হলেন শোভনার কন্যা।
১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রতাপচন্দ্রকে। ২০১০ সালে দেওয়া হয় পদ্মবিভূষণ সম্মান।
বেসরকারি হাসপাতাল খোলার আগে পেশায় চিকিৎসক ছিলেন প্রতাপচন্দ্র। হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি।
বর্তমানে পরিবার-সহ চেন্নাইয়ে থাকেন প্রতাপচন্দ্র। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নব্বই বছর বয়সে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা।