সঙ্গমে, সুন্দরে দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছিল। তাঁর তৈরি যৌনগন্ধী ভিডিয়োগুলির জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ যেন তাল কাটল। আইনি ঝামেলায় জড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হল পর্নতারকার।
ব্রিটেনের জনপ্রিয় পর্নতারকা লোলা ম্যাসন। সমাজমাধ্যমে ‘মামাপ্লাগ্স’ নামে তাঁর পরিচিতি। সম্প্রতি, নিজের সমাজমাধ্যমের গতিবিধি সম্পর্কে নতুন তথ্য হাতে পেয়েছেন লোলা।
আসলে, ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খপ্পরে পড়েছেন পর্নতারকা লোলা। তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে শয়ে শয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। নাম এবং ছবি দুই-ই ব্যবহার করেছেন দুর্বৃত্তেরা।
লোলার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তার মাধ্যমে পর্নতারকার লক্ষ লক্ষ ভক্তের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে।
পর্নতারকা নিজে এই প্রতারণা চক্রের কথা জানতেই পারেননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বিগত এক বছর ধরে তাঁর নাম এবং ছবি ব্যবহার করে বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা হয়েছে। ভক্তদের কাছ থেকে তাঁর নাম করে টাকা তোলা হয়েছে।
বিচিত্র কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে গিয়েছেন দুর্বৃত্তেরা। লোলা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলা, দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক পুরুষ ভক্তের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। তার পর প্রতিশ্রুতি মতো প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা না করতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সকলে।
ভক্তদের কাছ থেকেই গত কয়েক দিনে এই প্রতারণার নানা অভিযোগ লোলা পেয়েছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিনি নীরব দর্শক।
লোলা জানিয়েছেন, কোনও এক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারক তাঁর এক ভক্তকে জানিয়েছেন, তাঁর দিদিমা টেক্সাসে থাকেন। তিনি নাকি অত্যন্ত অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। অথচ, ব্রিটিশ সুন্দরী লোলা কখনও টেক্সাসে পা-ই রাখেননি।
এখানেই শেষ নয়, লোলার এক ভক্তের কাছে নাকি বিয়ের প্রতিশ্রুতিও গিয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে লোলার অনুরাগীর কাছে মোটা টাকা চাওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে লোলা তাঁকে বিয়ে করতে রাজি আছেন বলে ঘোষণা করেছেন সেই প্রতারক।
লোলার আশঙ্কা, এই প্রতারকদের জন্য আগামী দিনে তাঁকে আইনি ঝামেলাতেও জড়াতে হতে পারে। তবে সবই হয়েছে তাঁর অজান্তে।
ব্রাজিলের একটি অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটে নিয়মিত নিজের ভিডিয়ো শেয়ার করেন লোলা। সমাজমাধ্যমে নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টেও ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন। এ ছাড়া, ‘অনলি ফ্যান’ সাইটে তাঁর প্রোফাইল রয়েছে।
এই সব ওয়েবসাইট এবং প্রোফাইলে লোলার অজস্র ফলোয়ার। গত ১০ বছর ধরে পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্টির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টে লোকঠকানোর কারবার তাঁর কেরিয়ারেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পর্নতারকা মনে করছেন, প্রতারিত হয়ে তাঁর প্রতি বিরূপ হবেন তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই তাঁকে ভুল বুঝবেন। এতে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা কমে যেতে পারে।
ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন লোলা। সাইবার অপরাধদমন শাখার সাহায্যও নিয়েছেন। আবার কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট নিজে ঘরে বসেই সরিয়ে দিতে পেরেছেন।
লোলা জানিয়েছেন, এই প্রতারণা চক্র শুধু তাঁর নয়, পর্নোগ্রাফি এবং যৌন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অন্য অনেকেরই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের অজান্তে তাঁদের নাম, খ্যাতিকে হাতিয়ার করে কোথায় কী চলছে, তা কেউ জানে না।
বিষয়টির উপর তাঁদের কারও নিয়ন্ত্রণ নেই, ফলে এর থেকে মুক্তির উপায়ও তাঁদের জানা নেই, সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন লোলা।