রামমন্দির প্রতিষ্ঠার আগে নতুন ব্রত পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মাটিতে শয্যা থেকে জপ, ধ্যান রয়েছে আরও অনেক কিছুই।
পাঁচ বছর আগে লোকসভা ভোটপর্বের সময় কেদারে তাঁর ‘ধ্যানমগ্ন’ ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ব্রতপালনের কথা’ জানল দেশবাসী।
অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার থেকে ১১ দিনের জন্য যা শুরু করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সন্তদের উপদেশ মেনে এই ১১ দিন তিনি কঠোর অনুশাসন মেনে চলছেন। কৃচ্ছ্রসাধনের সঙ্গে থাকছে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্বও।
সেই সঙ্গে থাকছে তাঁর প্রিয় যোগচর্চা। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর শয্যাস্থান হয়েছে মাটিতে! রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর মেঝেতেই শোবেন তিনি।
প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ১১ দিনের ব্রতপালন পর্বে ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ শয্যাত্যাগ করবেন মোদী। এর পর চলবে যোগ, শরীরচর্চা এবং ধ্যানপর্ব।
‘ব্রতকথা’র নিয়ম মেনে দিনের বেশ কিছু সময় ‘নীরব’ থাকবেন মোদী। পালন করবেন মৌনতা। পূজার্চনার পাশাপাশি, ১১ দিন ধরে নিয়মিত নানা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করবেন তিনি।
‘ব্রতপালন’ পর্বে মোদীর খাদ্যতালিকাতেও থাকবে ধর্মীয় রীতির ছোঁয়া। প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই নিরামিষাশী।
শুক্রবার থেকে তাঁর আহার্যের তালিকাকে আরও সাত্ত্বিক করে তোলা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার তাঁর ব্রতপালন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে আর মাত্র ১১ দিন বাকি। প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতে ঈশ্বর আমাকে প্রস্তুত করেছেন। এ কথা স্মরণে রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ ব্রতপালন শুরু করছি।”
যদিও ইতিমধ্যেই দেশের চার শঙ্করাচার্য রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হিন্দুধর্মের চার শীর্ষস্থানীয় সন্তের অভিযোগ, রামমন্দিরের নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। তাই সেখানে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হিন্দুধর্মের রীতিবিরোধী।