তাঁর একটি শর্ত আছে। পরীক্ষায় ফেল করলে তবেই ফি নেন ক্যারোলিনা লেকার। পরীক্ষার্থী পাস করে গেলে তাঁর পরিষেবা সম্পূর্ণ ফ্রি।
ক্যারোলিনা একজন পেশাদার মডেল। বাড়ি বার্সেলোনায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের পত্রিকা প্লে বয়-এর আফ্রিকান সংস্করণের প্রচ্ছদে তাঁর ছবি ছাপা হয়েছে বহু বার।
বার্সেলোনার এই মডেলের জনপ্রিয়তাও চোখে পড়ার মতো। তিনি একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যক্তিত্ব। ‘নীল টিক’ দেওয়া তারকা সুলভ ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ইনস্টায় পাঁচ লাখ ভক্ত বা অনুগামী রয়েছে ক্যারোলিনার।
ভক্তদের দাবি, কৃষ্ণাঙ্গী ক্যারোলিনা নিখুঁত চেহারার অধিকারী। ইনস্টাগ্রামের অন্যতম সেরা সুন্দরীও।
যদিও ক্যারোলিনার লক্ষ্য শুধু ইনস্টাগ্রামের সেরা সুন্দরী হওয়া নয়। তিনি চান ইনস্টাগ্রামের সেরা মহার্ঘ সুন্দরী হতে।
নিজের শরীরের খুঁত ঢাকতে এ যাবৎ এক লক্ষ ১০ হাজার পাউন্ড অর্থ ব্যয় করেছেন ক্যারোলিনা। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকার সমান। তবে তাতে মন ভরেনি। ক্যারোলিনার ইচ্ছে আছে আরও নিখুঁত হওয়ার।
মডেলিংয়ের পাশাপাশি আরও নানা রকম কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন এই কন্যা। তবে তাঁর সবচেয়ে ভাল লাগে ‘পরীক্ষকের’ কাজ করতে।
কিসের পরীক্ষক? ক্যারোলিনা নিজেই ব্যখ্যা করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে ব্যবহার করে বহু স্ত্রী এবং প্রেমিকা তাঁদের সঙ্গীদের চরিত্রের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। আর তিনিও তাঁদের সানন্দে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
সঙ্গীর চালচলন নিয়ে যদি মনে সন্দেহ থাকে, তখনই তাঁরা ক্যারোলিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনুরোধ করেন প্রেমিক মানুষটির জন্য কঠিন পরীক্ষার জাল পাতার।
যদিও ক্যারোলিনা নিজে এই জালকে ‘জাল’ না বলে ‘মধুফাঁদ’ বলতে পছন্দ করেন।
কী ভাবে স্বামী বা প্রেমিকের চরিত্রের পরীক্ষা নেন ক্যারোলিনা? কী ভাবে বোঝেন নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী বা সঙ্গীর প্রতি অনুগত কি না?
ক্যারোলিনা জানিয়েছেন, স্ত্রী বা প্রেমিকার নির্দেশ আসার পর তিনি ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করেন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যান। এই কথাবার্তা তত ক্ষণ চলতে থাকে যত ক্ষণ না বিষয়টি বেশ ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে পৌঁছয় এবং ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান।
ক্যারোলিনা বলেছেন, তেমন হলে ধরে নেওয়া হয় পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে যদি ওই ব্যক্তি দেখা করতে না চান বা ক্যারোলিনার দেখা করার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন, তবে ধরে নিতে হবে তিনি সসম্মানে পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন।
ক্যারোলিনা জানিয়েছেন, তাঁর পরীক্ষার নীতি আছে। তিনি এই উতরে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের সঙ্গীর কাছ থেকে অর্থ নেন না।
তবে যদি পরীক্ষার্থী ফেল করেন, তবে তাঁর সঙ্গী বা স্ত্রী-র দু’কূলই যায়। ক্যারোলিনা বলেছেন, এই কাজের জন্য কোনও কোনও স্ত্রী বা প্রেমিকার থেকে এক হাজার ৪০০ পাউন্ড (যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকার সমান)ও নিয়েছেন তিনি।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারোলিনা জানিয়েছেন, এ ভাবে ইতিমধ্যেই ৭ হাজার ৪০০ পাউন্ড জমিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ক্যারোলিনার ইচ্ছে ওই টাকা আগামী দিনে নিজেকে আরও নিখুঁত বানাতে কাজে লাগাবেন তিনি।