তাঁর সাত বছরের প্রেমিককে বিয়ে করলেন দক্ষিণী নায়িকা নয়নতারা। প্রেমিক, পরিচালক ভিগনেশ শিবান।
মহাবলীপূরমের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসে তাঁদের বিয়ের আসর। পরিবার ও কাছের মানুষদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন নয়নতারা ও ভিগনেশ।
কেমন ছিল তাঁদের বিয়ের সাজ? নেটমাধ্যমে বিয়ের বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি শেয়ার করছেন ভিগনেশ।
মণিকা জেডের কালেকশন থেকে বিয়ের পোশাক— টুকটুকে লাল শাড়ি বেছে নিয়েছেন নয়নতারা। সঙ্গে সবুজ পাথরের ভারী হার এবং কপালে টিকলি আলাদা মাত্রা দিয়েছে সাজে।
আমন্ত্রিতদের সংখ্যা কম হলেও ‘ওজনে’ তাঁরা বেশ ‘ভারী’। এই তালিকায় ছিলেন শাহরুখ খান, রজনীকান্ত, মণিরত্নম, বনি কাপুর এবং আটলি।
কোভিড থেকে সেরে উঠেই সাতসকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান শাহরুখ। তাঁর নতুন ছবির ‘জওয়ান’-এর নায়িকা নয়নতারা।
বিয়েতে ছিল নিরামিষ খাবারের আয়োজন। তামিলনাড়ু এবং কেরলের বিভিন্ন পদ হয়েছিল অতিথিদের জন্য। এর মধ্যে ছিল এঁচোড়ের বিরিয়ানি, পনির পাট্টানি কারি, মোর কোজাম্বু, চেট্টিনাড় কারি।
বিয়ের দিন ১৮ হাজার শিশুর দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছিলেন নয়নতারা ও ভিগনেশ। এ ছাড়া তামিলনাডুর এক লক্ষ মানুষকে খাইয়েছেন তাঁরা।
২০১৫ সালে ‘নানুম রাওডিধন’ নামে একটি ছবির শ্যুটিং চলাকালীন পরস্পরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। বিয়ের আগে নয়নতারা-ভিগনেশ লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।
কবে বিয়ে করবেন তাঁরা, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। মাত্র দু’দিন আগে তাঁদের বিয়ের কথা ঘোষণা করেন নয়নতারা।
২০০৩ সালে ‘মানাসিক্কারে’ ছবি দিয়ে দক্ষিণের বিনোদন জগতে অভিষেক নয়নতারার। একটা সময় তাঁর সঙ্গে অভিনেতা ও কোরিওগ্রাফার প্রভু দেবার সম্পর্ক নিয়েও নানা জল্পনা ছড়ায়। সেই সময় প্রভু দেবা বিবাহিত ছিলেন।
সাড়ে তিন বছর ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করতে চলেছেন বলেও খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এমনকি তাঁরা একসঙ্গে থাকাও শুরু করেন। এই সম্পর্কের জেরে প্রভুর স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।
এর পর নয়নতারা প্রেমে পড়েন ভিগনেশের। ৯ জুন বিয়ে করেন তাঁরা।
বিয়ের পর দিনই নবদম্পতি তিরুপতি বালাজিতে পুজো দিতে যান। হাতে হাত ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন দু’জনে।