তাঁকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কিছু দিন আগে তিনিই ছিলেন নেটদুনিয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সংবাদমাধ্যমের চর্চার অন্যতম বিষয়। তিনি হলেন ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দর। ২২ বছরের এক যুবকের প্রেমের টানে তিনি পড়শি দেশ থেকে চলে আসেন ভারতে।
সংবাদমাধ্যমে কয়েক মাস আগেই চর্চায় থাকা ‘পাক বধূ’ সীমা সম্প্রতি জানালেন নিজের পঞ্চম বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সীমা জানিয়েছেন, তিনি সচিন মিনার সন্তানের মা হতে চলেছেন।
এখন স্বামী সচিনের সঙ্গে গ্রেটার নয়ডাতে থাকেন সীমা। ২০২৪-এই তাঁদের জীবনে আসতে চলেছে নতুন সদস্য, সংবাদমাধ্যমকে বলেন সীমা।
সীমা বলেন, ‘‘২০২৪ আমার কাছে নতুন খুশি নিয়ে এসেছে। ২০২৩ সালটাও আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই বছরটা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। সঙ্গে কিছু দুঃখও পেয়েছি।’’
কবে আসছে নতুন সদস্য? উত্তরে সীমা বলেন, ‘‘সুখবরের জন্য খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।’’ তা হলে কি দোলের আগেই মিলবে সুখবর? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সীমা বলেন, ‘‘না দোলে নয়, তবে খুব তাড়াতাড়ি সুখবর দেব আপনাদের।’’
সচিনের বাবাও এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘আমি আশা করছি, ছেলেই আসবে আমার ঘরে।’’
প্রসঙ্গত, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় ২০১৯ সালে ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সীমার। সেখান থেকে প্রেম। ২২ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা।
শুধু একা নন। সঙ্গে ছিল তাঁর চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম। ভিসা ছাড়া নেপালের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা।
তাঁকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তাঁরা। সীমার ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য।
অনেকেই সীমাকে পাকিস্তানের গুপ্তচর বলে মনে করেছিলেন। জট ছাড়াতে তদন্তে নেমেছিল উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
সীমা আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ পাক বধূ, না কি পাকিস্তানি গুপ্তচর, প্রকৃত তথ্য জানতে এখনও তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা।
দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল এই সীমা-সচিন জুটি। এখানেই শেষ নয়। ভারতের নাগরিকত্বের আবেদন করে সীমা চিঠি লেখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও।
দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল এই সীমা-সচিন জুটি। এখানেই শেষ নয়। ভারতের নাগরিকত্বের আবেদন করে সীমা চিঠি লেখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও।
এরই মধ্যে আইনি জটিলতার কারণে কার্যত ঘরবন্দি হুয়ে পড়েছিলেন সীমা-সচিনরা। সেই সময় অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা। তখন বলিউড থেকে একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ আসে তাঁর কাছে। চাকরির সুযোগ আসে গুজরাতের এক ব্যবসায়ীয় কাছ থেকেও। তবে সীমা অবশ্য তখন জানান, পুলিশ তাঁকে ক্লিনচিট না দিলে তিনি কিছুই করবেন না।