Aadhaar Card

আধার থেকে আঁধার নামতে পারে জীবনে! এমন আশঙ্কা থেকে মুক্তি মিলবে, ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তি পেয়েছেন?

প্রতারণার সম্ভাবনা থেকে মুক্তি দিতে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)-এর নতুন নির্দেশ, ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।

Advertisement
প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১৭
Share:
০১ ১৫

আঙুলের ছাপ দিয়ে প্রতারণায় জেরবার গ্রাহকেরা। সঙ্গে দোসর আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যোগ স্থাপন। সেই অপরাধের সম্ভাবনা থেকে মুক্তি দিতে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)-এর নতুন নির্দেশ, ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।

০২ ১৫

এই সংস্থাই অনলাইনে টাকা মেটানোর বিষয়টি দেখাশোনা করে। ইদানীং গ্রাহকের অজান্তে তাঁর আধারের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আঙুলের ছাপ নকল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত এনপিসিআইয়ের।

Advertisement
০৩ ১৫

এনপিসিআই নির্দেশিকায় বলেছে, এ জন্য আধার দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সুবিধা বা আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস) ‘ব্লক’ করতে হবে বা আটকে দিতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি তা করতে শুরুও করেছে। অনেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাচ্ছে গ্রাহকদের।

০৪ ১৫

তবে গ্রাহক চাইলে এই সুবিধা চালু রাখতে ব্যাঙ্কে আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, বহু গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে দেওয়া আঙুলের ছাপ চুরি করছে প্রতারকেরা।

০৫ ১৫

তার পরে তাঁদের আধার ব্যবহার করে টাকা হাতাচ্ছে। এনপিসিআইয়ের দাবি, এই ধরনের প্রতারণা রুখতেই এমন নির্দেশ।

০৬ ১৫

ব্যাঙ্কিং সূত্রের খবর, প্রায় ৯০% ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যুক্ত। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে আধার কার্ড ও আঙুলের ছাপ দিয়ে সেগুলি থেকে এক দফায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন গ্রাহক।

০৭ ১৫

একই দিনে একাধিক দফায় টাকা তোলা যায়। এই ব্যবস্থাই এইপিএস। গ্রামে ব্যাঙ্ক বা এটিএমের অভাব থাকায়, এইপিএস ব্যবস্থায় ব্যাঙ্ক মিত্র-র মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা তোলার পরিষেবা পান গ্রাহক।

০৮ ১৫

সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে আধার মারফত পরিচয় যাচাইয়ের সময় আঙুলের ছাপ লাগে। সেখান থেকেই হয়তো তা চুরি হচ্ছে।

০৯ ১৫

অভিযোগ সামনে আসার পরে বহু কর্মী সংগঠন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের বিরুদ্ধে সরব হয়। সূত্রের খবর, ঘরোয়া বৈঠকে অনেক ব্যাঙ্ক কর্তা এইপিএসের ঝুঁকি মেনেছেন।

১০ ১৫

সমাজের নানা ক্ষেত্রের মানুষের যৌথ সংগঠন ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার জোড়ার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবু তা করতে বাধ্য করছে ব্যাঙ্কগুলি। ওই সুযোগে প্রতারণা বাড়ছে। তবে এইপিএস বন্ধ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’

১১ ১৫

অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালাইজ়ড ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, এইপিএস সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছতে সহায়ক হয়েছে বটে। তবে তা আটকে দেওয়াও জরুরি ছিল। প্রতারণা থেকে বাঁচবেন অনেকে।

১২ ১৫

প্রসঙ্গত, এই পথে প্রতারণার বিষয় অনেকদিন ধরে চলছে। ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন মোবাইলে এসএমএস পেয়ে চুরির কথা জানতে পারছেন।

১৩ ১৫

ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে, তাঁর বায়োমেট্রিক তথ্যের ভিত্তিতেই সেই লেনদেন হয়েছে। যেটা তাঁরা আদৌ করেনইনি।

১৪ ১৫

কোথায় কী ভাবে সাধারণ মানুষের আঙুলের ছাপের মতো অতি ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে প্রতারণার জাল ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বিস্তর।

১৫ ১৫

যা নতুন করে মোদী সরকারের ডিজিটাল এবং নগদহীন আর্থিক পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement