দক্ষিণী ছবি ‘বাহুবলী’, ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’, ‘আরআরআর’ হোক বা হিন্দি ছবি ‘দঙ্গল’ বা ‘পাঠান’— বক্স অফিসে শাহরুখ খান, আমির খান, প্রভাসের মতো তারকাকেও টেক্কা দিয়েছেন বলিপা়ড়ার এক বর্ষীয়ান অভিনেতা। ১০০০ কোটি টাকার ক্লাবে এই অভিনেতাদের ছবির নাম থাকলেও তার চেয়ে বেশি উপার্জন করে বলিউডে নজির গড়েছিলেন কোন অভিনেতা, জানেন কি?
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ১৯৭৫ সালে রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় ‘শোলে’ ছবিটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে। ৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি এই ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে।
এমনকি ‘শোলে’ ছবিটি হিন্দি ফিল্মজগতে এমন জায়গা তৈরি করে যে, মুক্তির পর সর্বাধিক টিকিট বিক্রির খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল এই ছবি।
‘শোলে’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং ধর্মেন্দ্রের জয়-বীরুর জুটি, বিখ্যাত খলনায়ক গব্বরের চরিত্রাভিনেতা আমজাদ খান, হেমা মালিনী, সঞ্জীব কুমার এবং জয়া বচ্চনের অভিনয় দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছিল। এখনও সিনেপ্রেমীদের একাংশের প্রিয় ছবির তালিকায় রয়েছে এই ছবি।
কিন্তু ‘শোলে’ দর্শকের কাছে ভালবাসা পেলেও সত্তরের দশকে ১০০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেছিল জিতেন্দ্রের একটি ছবি।
শুধু ভারতেই নয়, চিনের প্রেক্ষাগৃহেও জিতেন্দ্রের ছবিটি মুক্তি পায়। টিকিটও বিক্রি হয়েছিল প্রচুর।
১৯৭১ সালে নাসির হুসেনের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘কারবাঁ’ ছবিটি। জিতেন্দ্রের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় আশা পারেখকে।
‘কারবাঁ’ ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন নাসিরের ভাই তাহির হুসেন। তিন দশকের কেরিয়ারে জিতেন্দ্র যে ২০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে ‘কারবাঁ’ অন্যতম।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘শোলে’ ছবির মুক্তির পর মোট ২৫ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ‘কারবাঁ’ সেই অঙ্ককেও পার করে যায়।
জিতেন্দ্রের ছবি ‘কারবাঁ’ মুক্তির পর ৩১ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল বলে জানা যায়। জিতেন্দ্র এবং আশা পারেখের অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবির প্রতিটি গানও সুপারহিট হয়।
সত্তরের দশকে ‘কারবাঁ’ ছবিটি সদ্য মুক্তি পাওয়ার পরেই শুধুমাত্র ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ৩.৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
‘কারবাঁ’ মুক্তির আট বছর পর ১৯৭৯ সালে চিনেও মুক্তি পায় এই ছবি। ভারতের মতো চিনেও জিতেন্দ্রের ছবি ভাল সাড়া ফেলে।
১৯৭৯ সালে চিনের প্রেক্ষাগৃহে ‘কারবাঁ’ মুক্তি পেলে ৮.৮ কোটি টিকিট বিক্রি হয়।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ভারতে যে দিন ‘কারবাঁ’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল, সে দিন ১.৯ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।
২০০০ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, ‘কারবাঁ’ ছবির মুক্তির পর মোট ৩০ কোটির বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, সত্তরের দশকে ‘কারবাঁ’ ছবিটি যা উপার্জন করেছিল, তা বর্তমান সময়ে মুক্তি পেলে ১৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে সক্ষম হত। হাজার কোটির ক্লাবে নাম লিখিয়ে ফেলত এই ছবি।