দর্শককে পৃথ্বীরাজ কপূর, শশী কপূর, রাজ কপূর, শাম্মি কপূর, ঋষি কপূর এবং রণবীর কপূরের মতো অভিনেতা উপহার দিয়েছে কপূর পরিবার।
সংখ্যায় কম হলেও কপূর পরিবারের কন্যারাও কোনও অংশে কম যান না। করিশ্মা কপূর এবং করিনা কপূর খান, দুই অভিনেত্রীই বলিপাড়ার প্রথম সারিতে রয়েছেন।
দর্শকের অনেকের ধারণা, করিশ্মা এবং করিনা ছাড়া হিন্দি ছবিতে কপূরদের কোনও কন্যা অভিনয় করেননি। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল।
করিশ্মা এবং করিনার আগেও কপূর পরিবারের আর এক কন্যা অভিনয়জগতে পা রাখেন। তিনি সঞ্জনা কপূর।
১৯৬৭ সালে ২৭ নভেম্বর কপূর পরিবারে জন্ম হয় সঞ্জনার। শশী কপূর এবং তাঁর স্ত্রী জেনিফার কেন্ডেলের কন্যা তিনি।
আশির দশকে প্রথম বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান সঞ্জনা। শশী কপূর প্রযোজিত ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’ নামের বাংলা ছবিতে কাজের সুযোগ পান তিনি। এই ছবিতে অন্যতম মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন তাঁর মা জেনিফারও।
প্রথম ছবি মুক্তির তিন বছর পর ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় ‘উৎসব’ ছবিটি। শশী কপূর প্রযোজিত এই ছবিতেও অভিনয় করেন সঞ্জনা।
‘হিরো হীরালাল’ নামের হিন্দি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সঞ্জনাকে।ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
তার পর ‘সালাম বম্বে!’ এবং ‘আরণ্যক’ নামে দু’টি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় সঞ্জনাকে। বড় পর্দা ছেড়ে এর পর থিয়েটারে মনোনিবেশ করেন তিনি।
মুম্বইয়ে পৃথ্বী থিয়েটারের দায়ভার বহু বছর সামলান স়ঞ্জনা। শিশুদের নাটক শেখানোর জন্য বিভিন্ন ওয়ার্কশপের আয়োজনও করতেন তিনি।
সাড়ে তিন বছর একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনাও করেন সঞ্জনা। ২০১১ সালে পৃথ্বী থিয়েটার থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন তিনি।
পৃথ্বী থিয়েটার থেকে সরে আসার এক বছর পর নিজস্ব থিয়েটার দল তৈরি করেন সঞ্জনা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই দল নাটক করে বেড়ায়।
১৯৮৯ সালে অভিনেতা-পরিচালক আদিত্য ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সঞ্জনা। কিন্তু তাঁদের বিবাহিত সম্পর্ক সুখের ছিল না। বিয়ের দু’বছরের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
বিচ্ছেদের পর বল্মিক থাপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সঞ্জনা। পেশায় এক ব্যাঘ্র সংরক্ষক তিনি। বল্মিককে বিয়েও করেন তিনি।
বর্তমানে স্বামী এবং পুত্রসন্তান নিয়ে সংসার করছেন সঞ্জনা। পাশাপাশি থিয়েটার নিয়েও নিজেকে ব্যস্ত রাখেন কপূর পরিবারের কন্যা।