টিনসেল নগরীর দক্ষ অভিনেতাদের মধ্যে একেবারে প্রথম দিকে রয়েছেন নানা পটেকর। শুধু বলিউডেই নয়, মরাঠি সিনেমাজগতেও তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে এক দিকে যেমন তিনি দর্শকদের মন জিতেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও এনেছিলেন বলিউডের এক অভিনেত্রী।
২০০৯ সালে মুক্তি পায় ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবিটি। এই ছবিতে একটি নাচের দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায় তনুশ্রী দত্তকে। নানা পটেকর এই ছবির মুখ্য চরিত্রে ছিলেন। শ্যুটিং চলাকালীন তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন অভিনেতা, এমনই অভিযোগ করেন তনুশ্রী।
এই ঘটনা অস্বীকার করে তনুশ্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেন নানা। এর ফলে অভিনেত্রীর কেরিয়ারেও প্রভাব পড়ে। তবে নানার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ সহজে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
কিন্তু বলিউডের আরও এক অভিনেত্রী নানা সম্পর্কে মন্তব্য করায় এই ঘটনাটি নতুন মোড় দেয়। এক বার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়ার কাছে নানা পটেকর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
ডিম্পলের উত্তর শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সঞ্চালক। ডিম্পল বলেন, ‘‘অভিনেতা হিসাবে নানা পটেকরের তুলনা হয় না। কিন্তু তাঁর চরিত্র বিরক্তিকর।’’
সাফল্যের শীর্ষে থাকা এমন এক জন অভিনেতাকে হঠাৎ ‘বিরক্তিকর’ বলার কারণ কী? এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, নানা পটেকরের জীবনে একটি ‘অন্ধকার দিক’ রয়েছে।
এই ‘অন্ধকার দিক’-এর সঙ্গে পরিচয়ও রয়েছে ডিম্পলের। তিনি জানান, নানা পটেকরের এই দিক ভয়ঙ্কর এবং ঘৃণ্য।
বিস্তারিত জানতে চাইলে অভিনেত্রী জানান, সকলেরই ভাল এবং খারাপ দিক রয়েছে। মানুষ সেই ভাল দিকগুলো দিয়েই খারাপগুলো ঢাকার চেষ্টা করেন।
এই সাক্ষাৎকারের আট বছর পর তনুশ্রী যখন নানা পটেকরের বিরুদ্ধে সরব হন, সেই সময় ডিম্পল কাপাডিয়ার সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু আবার প্রকাশ্যে আসে।
তবে, কি তনুশ্রীই ঠিক? নাকি ডিম্পল অভিনেতার জীবনের অন্য কোনও গোপন কথাও জানেন? বলিপাড়ায় এই নিয়ে সাময়িক গুঞ্জন শোনা গেলেও এক সময়ে তা থেমেও যায়।
সম্প্রতি নানা পটেকর ‘দ্য কনফেশন’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর অভিনয়জগত থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেতা।
চার বছর পর আবার বড়পর্দায় কাজ করছেন নানা পটেকর। এটি একটি সামাজিক থ্রিলার ঘরানার ছবি। অনন্তনারায়ণ মহাদেবন এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।