সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিয়ে হিসাবে নজির গড়েছে মুকেশ-পুত্রের বিয়ে। তিন দিন ধরে চলা বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে দেশের ‘সবচেয়ে দামি’ জন্মদিনের পার্টি দিয়ে নজির গড়েছিল অম্বানী পরিবার।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর ৬১ বছরে পা দিতে চলেছেন মুকেশের স্ত্রী নীতা অম্বানী। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এক দশক আগে নীতার জন্যই ‘সবচেয়ে দামি’ জন্মদিনের পার্টি দিয়ে নজির গড়েছিলেন মুকেশ।
২০১৩ সালে ৫০তম জন্মদিন পালন করেছিলেন নীতা। প্রতি বছর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটালেও ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রীকে বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন মুকেশ।
স্ত্রীর জন্মদিনে চমক দেওয়ার জন্য পার্টি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুকেশ। সেই পার্টিতে শুধু অম্বানী পরিবারের সদস্যেরাই নন, আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শাহরুখ খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসের মতো তারকারা।
কানাঘুষো শোনা যায়, জোধপুরের উমেইদ ভবন প্রাসাদে নীতার জন্মদিন উপলক্ষে পার্টি দিয়েছিলেন মুকেশ। দু’দিন ধরে সেই পার্টি চলেছিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নীতার জন্মদিনের পার্টির জন্য দেশ-বিদেশ থেকে উড়ে এসেছিলেন তারকারা। শিল্পপতিরাও ছিলেন অতিথিদের তালিকায়।
অতিথিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য একাধিক চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছিলেন মুকেশ। মোট অতিথির সংখ্যা ছিল আড়াইশোর বেশি।
অতিথিদের তালিকায় শাহরুখ খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পাশাপাশি ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরের মতো ক্রিকেটার। মিত্তল এবং বিড়লা পরিবারের সদস্যদেরও দেখা পাওয়া গিয়েছিল ওই পার্টিতে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নীতার জন্মদিনের পার্টিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মঞ্চে পারফর্ম করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন মুকেশ-কন্যা ইশা অম্বানী।
শুধু নাচের পারফর্ম্যান্সই নয়, নীতার জন্মদিনে মঞ্চে গান গাইতে দেখা গিয়েছিল এআর রহমানকে।
জোধপুরের প্রাসাদ সেজে উঠেছিল আলোর সাজে। নীতার নাম আলো দিয়ে লেখা হয়েছিল প্রাসাদের ভিতর।
নীতার জন্মদিন উপলক্ষে জোধপুরের প্রাসাদে অতিথিদের বিনোদনের জন্য আলো দিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আকাশের উপর আলো দিয়ে ধীরুভাই অম্বানীর মুখের অবয়বও আঁকা হয়েছিল।
যে ফুল দিয়ে পুরো প্রাসাদটি সাজানো হয়েছিল, তা তাইল্যান্ড থেকে আনানো হয়েছিল বলে শোনা যায়।
প্রাসাদের ভিতর বাচ্চাদের খেলাধুলো করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল বিনোদন পার্ক। সেখানকার রাইডগুলি আনানো হয়েছিল লন্ডন থেকে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দু’দিনের পার্টিতে ২২০ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন মুকেশ। দেশের ‘সবচেয়ে দামি’ জন্মদিনের পার্টি ছিল সেটি।