বড় পর্দার সিনেমা হোক বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ, শ্যুটিংয়ের স্থান বাছাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। চিত্রনাট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘লোকেশন’ পছন্দ করা হয়। কখনও ভারতের মধ্যে, কখনও দেশের বাইরেও যেতে হয়।
বহু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে, পরিচালকেরা বলিউড তারকাদের বাড়িতেই শ্যুটিং করেছেন। শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, সলমন খানের বাড়িতেই অধিকাংশ ছবির শ্যুটিং হয়েছে। বাদ যায়নি সইফ আলি খানের ‘পটৌডী প্যালেস’ও।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফ্যান’ ছবিতে শাহরুখ খানকে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। মূল গল্পকে আরও ফুটিয়ে তোলার জন্য সিনেমার কিছু দৃশ্য স্বয়ং অভিনেতার বাড়ি ‘মন্নত’-এই শ্যুট করা হয়।
শাহরুখ ও প্রীতির ‘বীর জারা’ জুটি এখনও সকলের পছন্দের। রোমান্টিক ছবির তালিকায় এখনও ‘বীর জারা’ ছবির নাম উপরের দিকে। গল্প অনুযায়ী, নায়িকার বাড়ি পাকিস্তানে। কিন্তু শ্যুটিং পাকিস্তানে নয়, বরং হরিয়ানাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের পৈতৃক বাড়ি পটৌডী প্যালেসের ভিতরে এর শ্যুটিং হয়।
রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘সঞ্জু’ ছবির মূল কাহিনি অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবনের উপর ভিত্তি করেই রচিত। এই ছবির কিছু অংশ সঞ্জয়ের বাড়ি ‘ইমপেরিয়াল হাইটস্’-এ শ্যুটিং হয়েছে।
২০১৩ সালে ‘বম্বে টকিজ’ নামে একটি অ্যান্থলজি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। চারটি শর্ট ফিল্ম মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কর্ণ জোহর পরিচালিত ‘আজীব দাস্তাঁ হ্যায় ইয়ে’ শর্ট ফিল্মে রানি মুখোপাধ্যায় এবং রণদীপ হুডাকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য কর্ণ তাঁর নিজের বাড়িতেই শ্যুট করেন।
‘বম্বে টকিজ’-এর অন্তর্গত ‘মুরাব্বা’ ছবির শ্যুটিং হয়েছে অভিনেতার বাড়িতে। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ও বিনীতকুমার সিংহ অভিনয় করেছেন। সিনেমার গল্প অনুযায়ী, অমিতাভ বচ্চনকে বলিউডের সুপারস্টার হিসাবেই দেখানো হয়েছে। সেই সূত্রে, অমিতাভের বাড়ি ‘প্রতীক্ষা’তে এই ছবির শ্যুটিং করেছেন অনুরাগ।
এ ছাড়াও, অর্জুন কপূর ও করিনা কপূর খান অভিনীত ‘কি অ্যান্ড কা’ ছবির শ্যুটিংও হয়েছে ‘বিগ বি’-র বাড়িতে। ভাল করে লক্ষ করলে অন্তর্মহলের সাজও ধরা পড়বে দর্শকদের সামনে।
জয়পুরের নাহরগড় কেল্লাতে ‘রং দে বসন্তী’ বেশির ভাগ অংশ শ্যুট করা হলেও কিছু অংশ হরিয়ানার ‘পটোডী প্যালেস’-এ শ্যুট করা হয়।
সলমন খান অভিনীত ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ সিনেমাটি বক্স অফিস থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার উপার্জন করে। কাহিনি অনুযায়ী, সিনেমার মূল অংশ ভারত ও পাকিস্তানে শ্যুট করার কথা। কিন্তু এই ছবির অধিকাংশই কাশ্মীর উপত্যকায় এবং ভাইজানের পানভেলের ফার্মহাউসে শ্যুটিং হয়।