কারও মাথাভর্তি শিং, কারও আবার চুলের দৈর্ঘ্য সাত ফুটেরও বেশি। বিশেষ দৈহিক গড়ন অথবা দৈহিক বৈশিষ্ট্যের জন্য গিনেস বুকে নাম লিখিয়ে বিশ্বজোড়া নজির গড়েছেন অনেকে।
মিশেল দিয়াবাও প্রাডো। ৪৭ বছর বয়সি এই তরুণ ব্রাজিলের সাও পওলো এলাকায় থাকেন। মিশেলের মাথাভর্তি শিং। মোট ৩৩টি সাদা রঙের শিং বসিয়েছেন তাঁর মাথায়।
কথায় রয়েছে অবাক হলে নাকি চোখের মণি বেরিয়ে গিয়ে ‘ছানাবড়া’ হয়ে যায়। এই ঘটনা যে বাস্তবেও ঘটে তার প্রমাণ দিলেন ব্রাজিলের এক বাসিন্দা।
ব্রাজিলের সাও পওলো এলাকার বাসিন্দা সিডনি দে কারভালহো মেসকিটা। ন’বছর বয়স থেকেই চোখের মণি চাপ দিয়ে বাইরে বার করতে পারেন তিনি।
গিনেস বুকে নামও ওঠে সিডনির। পরিমাপ করে দেখে যায়, সিডনি তাঁর চোখের মণি ১৮.২ মিলিমিটার পর্যন্ত বার করতে পারেন। এ যে বাস্তবেই ‘চোখ ছানাবড়া’।
বিশেষ দৈহিক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশ্ব জুড়ে নজির গড়েছেন ভারতীয় এক মহিলা। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা স্মিতা শ্রীবাস্তব। কিশোরী বয়স থেকেই চুল লম্বা রাখার ইচ্ছা জাগে তাঁর।
১৪ বছর বয়স থেকেই চুল লম্বা করছেন স্মিতা। এখনও পর্যন্ত তাঁর চুলের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি। সারা বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম চুল রয়েছে স্মিতার।
আমেরিকার ক্যাস্পার নামের একটি বারের দৃশ্য। মুখভর্তি দাড়ি রয়েছে এমন পুরুষেরাই সারি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এক জনের দাড়ির শেষ প্রান্তের জন্য অন্য জনের দাড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দাড়ির যে লম্বা লাইন তৈরি হয় তার দৈর্ঘ্য ৪৫ মিটার। দাড়ির লম্বা চেন তৈরি করে বিশ্বে নজির গড়লেন তাঁরা।
২০০৭ সালে জার্মানিতে চেনের আকারে পুরুষদের দাড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১৮ মিটার। অন্য দিকে, ক্যাস্পার বারে ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের চেন তৈরি করে সকলে ৩১ সেকেন্ড দাঁড়িয়েছিলেন।
নাকের দু’দিক পর্দা দিয়ে জোড়া নেই। বরং নাকের গোড়ার দিকে ভাল করে তাকালে লক্ষ করা যায় একটি বড় গর্ত। তার ভিতর দিয়ে কখনও গলে যায় আস্ত পেন। কখনও বা আস্ত বুড়ো আঙুলও ঢুকে যায় গর্তে।
কলটন পাইফর আদতে আমেরিকার মিচিগানের বাসিন্দা। ১৮ বছর বয়সে ১৬ গজের সুঁচ দিয়ে নাকে ফুটো করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা গর্তের আকার নেয়। তার ভিতর দিয়েই কলটন গলিয়ে দিতে পারেন একটি আস্ত পেন। কলটনের নাকের গর্তের পরিধি ২.৬ সেন্টিমিটার।
নারী হয়েও দাড়ি গজিয়েছে গালে। আমেরিকার মিচিগানের বাসিন্দা এরিন হানিকাট। বাইরে থেকে কোনও হরমোনের প্রয়োগে নয়, নিজে থেকেই এরিনের মুখে গজিয়ে ওঠে দাড়ি।
১৩ বছর বয়স থেকে মুখে লোমের আধিক্য পেতে থাকে এরিনের। দিনে অন্তত তিন বার দাড়ি কামান তিনি। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস রোগ রয়েছে এরিনের। এর ফলেই নাকি লোমের আধিক্য পেতে পেতে দাড়ি গজাতে শুরু করে তাঁর মুখে।
পিসিওএস রোগে আক্রান্ত হলে মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, মুখে লোমের আধিক্য, ত্বকে ব্রণের উপসর্গও দেখা যায়। ৩৮ বছর বয়সি এরিনের দাড়ির দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার।