বিমানবন্দর মানেই প্রচুর লোকজন। ইয়া বড় রানওয়ে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে একের পর এক বিমান। সারাক্ষণ ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু এই বিমানবন্দরটি একেবারে আলাদা। চেহারায় ছোট। শুধুমাত্র একটি বিমানসংস্থারই উড়ান ওঠানামা করে।
আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় রয়েছে মরগানটাউন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দর। সেই বিমানবন্দরের ভিডিয়ো সম্প্রতি টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এত ছোট বিমানবন্দর দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। বিমানের সংখ্যাও কম। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রীসংখ্যাও ন্যূনতম।
৪৯০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিমানবন্দরটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিমানবন্দরটির উচ্চতা ১২৪৪ ফুট।
বিমানবন্দরে মাত্র একটিই রানওয়ে রয়েছে। রানওয়েটি প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা।
অন্যান্য বিমানবন্দরে যেমন ব্যাগেজ এলাকা অনেকটা বড় হয়, সেই তুলনায় মরগানটাউন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে ব্যাগেজ এলাকা খুবই ছোট।
অন্য বিমানবন্দরগুলিতে যেমন সারাক্ষণ ব্যস্ততা থাকে, যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ে, সেই তুলনায় এই বিমানবন্দরে উল্টো ছবি।
মাত্র একটি বিমানসংস্থার উড়ানই ওঠানামা করে ওই বিমানবন্দরে।
মরগানটাউন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দর থেকে শুধুমাত্র ২টি গন্তব্যেই রোজ বিমান ওড়ে। একটি হল ওয়াশিংটনের ডালেস বিমানবন্দর এবং পিটসবার্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
বিমানভাড়াও বেশ সস্তা। মরগানটাউন থেকে পিটসবার্গ যাওয়ার জন্য ভাড়া ২৪০০ টাকা। আবার, ওয়াশিংটনের ভাড়া ৩ হাজার টাকা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, সে বছর মোট ৫৫ হাজার ৬৬০টি বিমান ওঠানামা করেছে ওই বিমানবন্দরে। দিনে প্রায় ১৫২টি করে বিমান ওঠানামা করেছিল।
বিমানবন্দরটির রানওয়ে ছোট হওয়ার কারণে বড় বিমান ওঠানামা করে না। আগামী দিনে রানওয়ে বড় করার আর্জি জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
মরগানটাউন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের থেকেও অনেক ছোট বিমানবন্দর রয়েছে। ওয়াশিংটনে রয়েছে ফ্রাইডে হার্বার বিমানবন্দর। যার আয়তন ১৪৫ একর।
দক্ষিণ কারোলাইনায় রয়েছে হিল্টন হেড বিমানবন্দর। যার আয়তন ১৮০ একর। মিশিগানে শার্লেভয়েক্স মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের আয়তন ১৮৫ একর।
সম্প্রতি মরগানটাউন বিমানবন্দরের ভিডিয়ো টিকটকে প্রকাশ হতেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটি দেখেছেন লক্ষাধিক মানুষ।