স্টেক খেতে কে না ভালবাসে! বিশেষ করে বড়দিন উপলক্ষে তো স্টেক খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু নিজের পছন্দের জিনিস খেতে গিয়ে যদি হঠাৎ বিপদে পড়তে হয়? ব্রিটেনের ‘মিলার অ্যান্ড কার্টার স্টেকহাউস’ রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে ভয়ানক বিপদের মুখে পড়েন কর্মী-সহ রেস্তরাঁয় উপস্থিত অতিথিরা।
বড়দিন উদ্যাপন করতে ব্রিটেনের ‘মিলার অ্যান্ড কার্টার’ রেস্তরাঁয় ভিড় করেছিলেন অতিথিরা। ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রচুর শাখা রয়েছে।
কিন্তু এসেক্সের লেকসাইড শপিং সেন্টারে যে রেস্তরাঁটি রয়েছে তা আলাদা ভাবে নজর কাড়ে। হ্রদের ধারে একটি স্টিমারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে লেকসাইডের এই রেস্তরাঁটি।
শুক্রবার সকাল থেকেই রেস্তরাঁ জুড়ে সাজ সাজ রব। অন্দরসজ্জায় বড়দিনের আমেজ ফুটে উঠেছে। মধ্যাহ্নভোজের জন্য খাবার তৈরির প্রস্তুতি তখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই স্টেক খেতে হাজির হয়েছেন অনেকে।
ধীরে ধীরে বেলা গড়াচ্ছে। রেস্তরাঁ তখন লোকে লোকারণ্য। খাবার পরিবেশন করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ রেস্তরাঁর ভিতরে সব কিছু যেন থম মেরে যায়।
হঠাৎ করে রেস্তরাঁটি যেন এক দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। ধীরে ধীরে হ্রদের জলে ডুবে যেতে থাকে রেস্তরাঁটি। বোঝা মাত্রই অতিথিরা ভয় পেয়ে ছোটাছুটি আরম্ভ করে দেন।
রেস্তরাঁর সামনের দিক দিয়ে ভিতরের দিকে জল ঢুকতে শুরু করে। রেস্তরাঁর কর্মীরা অতিথিদের সকলকে রেস্তরাঁর ভিতর থেকে বার করেন।
কী ভাবে রেস্তরাঁটি ভেঙে গেল সেই বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছেন কর্মীরা। ঘটনার পরেই ফেসবুকে রেস্তরাঁর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যত দিন না রেস্তরাঁটি আবার সংস্কার করা হচ্ছে, তত দিন তা বন্ধ রাখা হবে।
বড়দিন উপলক্ষে অনেকেই এই রেস্তরাঁয় আগে থেকে আসন সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। তাঁরা শেষ মুহূর্তে কোথায় খেতে যাবেন বা রেস্তরাঁর তরফে সেই অতিথিদের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না তা নিয়েও রেস্তরাঁয় যোগাযোগ করেন অতিথিরা।
সমাজমাধ্যমে রেস্তরাঁর তরফে জানানো হয়েছে যে, এখন ফোন তোলার মতো পরিস্থিতিতেও তারা নেই। তবুও যতটা সম্ভব তাদের তরফ থেকে অতিথিদের সহায়তা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তারা।
অনেকে একে ‘ডুবন্ত রেস্তরাঁ’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। অনেকে আবার মন্তব্য করেছেন, এই ঘটনা ‘টাইটানিক’ ডোবার স্মৃতি জীবন্ত করে দিয়েছে।
কিন্তু কেউ কেউ আবার রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। রেস্তরাঁর অসাবধানতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন একাংশ। এমন ঘটনা উৎসবের পুরো আমেজকেই নষ্ট করে দিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।