মিকেলেঞ্জেলোর ভাস্কর্য ডেভিডের মতোই পেশল তাঁর চেহারা। সাত সকালে সেই শরীর যখন কসরত করে, তখন তাতে পিছলে পড়ে সূর্যের আলো। বাদামি শরীর বেয়ে চুঁইয়ে নামে স্বেদবিন্দু। ইনস্টাগ্রামে সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো কি ইচ্ছে করেই দেন মিলিন্দ সোমান। তাতে কি কোনও বার্তা থাকে? তিনি কি এটাই বোঝাতে চান যে ৫৬ বছরে পৌঁছেও অনায়াসে ৩০-এর তরুণীর পাণিগ্রহণ করতে পারেন! হয়তো তাই। তবে মিলিন্দ এই প্রথম তাঁর শরীর নিয়ে মুখ খুললেন। শারিরীক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন। তাতে উঠে এল তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক, এমনকি শারীরিক কামনা-বাসনার কথাও।
৬০ ছুঁই ছুঁই তরুণ। নিজেকে তা-ই মনে করেন মিলিন্দ। স্ত্রী অঙ্কিতার সঙ্গে তাঁর ২৬ বছরের বয়সের তফাৎ। মিলিন্দ তাতে গুরুত্বই দেন না। যত বার তাঁদের বিবাহিত জীবন এবং শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মুহূর্ত নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেছে তত বারই মিলিন্দ বলেছেন, আমরা ভাল আছি। দারুণ আছি।
তবে শারীরিক ভাবে তিনি কতটা ফিট, তার প্রমাণ মিলিন্দ দিয়ে গিয়েছেন ক্রমাগত। সম্ভবত তাঁর সমালোচকদের জন্যই। এই সেদিন গেয়ার বিচে তাঁর নগ্ন হয়ে দৌড়নোর ছবি নেটমাধ্যমে হই চই ফেলেছিল। যুবকের মতো আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ রাখতে চেয়েছিলেন কি? হয়তো তাই।
তবে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন। যা এতদিন ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তা এ বার সরাসরি মুখে বলেছেন মিলিন্দ। জানিয়েছেন, স্ত্রী-র সঙ্গে তাঁর ২৬ বছরের বয়সের তফাৎ থাকলেও শরীরী বিষয়ে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন তিনি। এমনকি কখনও-সখনও তাঁর নিজেকে অঙ্কিতার থেকেও কমবয়সি মনে হয়।
মিলিন্দ বলেছেন, ‘‘অনেকেই আমার যৌনজীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাঁরা এটাও জানতে চান ৩০ বছরের স্ত্রীকে আমি সুখী রাখি কী ভাবে! তাঁদের বলতে চাই, আমাদের দু’জনে শারীরিক চাহিদায় কোনও তফাৎ নেই। আমরা দু’জনেই মনের দিক থেকে এক রকম। ওঁর বয়স ৩০। সত্যি বলতে কি, আমার নিজেকে তাঁর থেকেও কমবয়সি বলে মনে হয়।
মিলিন্দের কথায়, সুস্থ যৌনজীবন দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন। আমার বলতে অসুবিধা নেই, শরীর এবং মন দু’দিক থেকেই আমি সুস্থ। তা হলে অসুবিধা কীসে!
তবে কি ৬০-এর দোরগোরায় পৌঁছেও সুস্থ এবং সক্রিয় যৌনজীবন বজায় রাখা সম্ভব? মিলিন্দ মনে করেন, সম্ভব। তবে ক্ষমতা আছে কি নেই, তা ভেবে দুশ্চিন্তা করা অমূলক। মিলিন্দের কথায়, এটুকুই সুস্থ যৌনজীবনের গোপন কথা।
নিয়মিত শরীরচর্চা করেন মিলিন্দ। খাবারও খান মেপেজুপে। ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানিয়েছিলেন। তবে কি সুস্থ শরীরের জন্য এই শরীরচর্চারও ভূমিকা আছে? প্রশ্ন ছিল মিলিন্দের কাছে।
মিলিন্দ জানিয়েছেন, শরীরচর্চা নিজের শরীরকে বুঝতে সাহায্য করে। শরীরকে জানতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা জরুরি কারণ, তা দিয়ে শরীরের সমস্যগুলি দূর করা যায়।
তবে মিলিন্দ মনে করেন শরীরচর্চার মতোই মনের চর্চাও জরুরি। উপযুক্ত চর্চায় শরীরে পেশি যেমন ভাল কাজ করে, তেমনই মনের চর্চাও মন ভাল রাখে।
৬০ ছুঁই ছুই তরুণদের তাই মিলিন্দের টিপস, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু নষ্ট হয়ে যায় না। যদি শরীর ফিট থাকে, তা হলে বয়স যা-ই হোক সুস্থ যৌনজীবন বজায় রাখতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।