ছ’বছর বয়সে কেরিয়ারের প্রথম ছবি। প্রথম ছবিতেই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয়। দীর্ঘ দিন হিন্দি ফিল্মজগৎ থেকে বিরতি নেওয়ার পর এখন কী করছেন ‘ব্ল্যাক’-এর শিশু অভিনেত্রী আয়েশা জিউলিয়া কপূর?
১৯৯৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জার্মানিতে জন্ম আয়েশার। বিদেশে জন্ম হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা পুদুচেরির অরোভিলে।
আয়েশার মা জ্যাকলিন জার্মানির বাসিন্দা। তাঁর বাবা দিলীপ কপূর পেশায় ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি সংস্থার মালিক তিনি। ছোট থেকেই মিশ্র সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন আয়েশা। বাবা-মা এবং তিন ভাইয়ের সঙ্গে পুদুচেরিতে থাকতেন তিনি।
আমেরিকার একটি স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আয়েশা। তার পর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কলা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ।
২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ব্ল্যাক’। এই ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা পান রানি মুখোপাধ্যায় এবং অমিতাভ বচ্চন। মূক, বধির এবং দৃষ্টিহীনার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রানিকে। সেই চরিত্রের শৈশব বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন আয়েশা।
আয়েশা যখন ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তখন তাঁর বয়স মাত্র ছ’বছর। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময় হিন্দি ফিল্মজগৎ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতেন না আয়েশা। তবে ফিল্মের কাজ শুরু হতে হতে আরও পাঁচ বছর পেরিয়ে যায়।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘ব্ল্যাক’ ছবির শুটিং চলাকালীন আয়েশা নাকি অমিতাভকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনিও অভিনেত্রীর মতো প্রথম বার অভিনয় করছেন কি না।
‘ব্ল্যাক’ মুক্তির চার বছর পর ‘সিকন্দর’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেন আয়েশা। তার পর অবশ্য বেশ কয়েক বছর কোনও হিন্দি ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
অভিনয়জগৎ থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিয়ে স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন আয়েশা। তার পর ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
মায়ের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন আয়েশা। বর্তমানে বড় বড় শহরের নামী বিপণিতে ঝলমল করে তাঁর ব্র্যান্ডের জিনিস। তৈরি করেন পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের জন্য রকমারি জিনিস।
ব্যবসার পাশাপাশি লেখালিখিও করেন আয়েশা। তাঁর ব্লগে ফ্যাশন, স্বাস্থ্য এবং ভ্রমণ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা থাকে।
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কানাঘুষো শোনা যায়, এক বলি অভিনেতার সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আয়েশা। শাহিদ কপূরের সৎভাই এবং অভিনেতা ঈশান খট্টরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ঈশানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে নাকি অ্যাডাম ওবেরয় নামে এক ব্যক্তিকে বহু দিন ডেট করেছিলেন আয়েশা।
সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই সক্রিয় দেখা যায় আয়েশাকে। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
দীর্ঘ বিরতির পর আবার অভিনয়জগতে ফিরছেন আয়েশা। ‘হরি ওম’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, হিন্দি ভাষায় খুব একটা সড়গড় ছিলেন না আয়েশা। ‘হরি ওম’ ছবির শুটিংয়ের আগে হিন্দি ভাষার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।
কুলবিন্দর বকশিশ, যিনি আমির খানকে ‘লাল সিংহ চড্ডা’-র জন্য পঞ্জাবি ভাষা শিখিয়েছিলেন, তিনিই হিন্দি উচ্চারণ শিখিয়েছেন আয়েশাকে।